Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya

Book Name:Talib e Ilm e Deen Par Karam Ho Gaya

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

দ্বীনি শিক্ষার্থীর প্রতি দয়া হয়ে গেলো... (ঈমান উদ্দীপক ঘটনা)

হযরত ইয়াহইয়া বিন ইয়াহইয়া رَضِیَ اللهُ عَنْہُ মুফতীয়ে মদীনা, হযরত মালিক বিন আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর ছাত্র ছিলেন, তিনি বলেন: যখন আমি প্রথম দিন হযরত ইমাম মালিক বিন আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর কাছে পড়ার জন্য উপস্থিত হলাম, তিনি আমার নাম জিজ্ঞাসা করলেন, এরপর বললেন: اَلله اَلله হে ইয়াহইয়া! ইলমে দ্বীন অর্জনে সর্বাত্মক চেষ্টা কর...! তোমার উৎসাহের জন্য আমি তোমাকে একটি ঘটনা বলছি। একবার সিরিয়া থেকে তোমারই সমবয়সী এক যুবক মদীনা মুনাওয়ারায় ইলমে দ্বীন শিখতে এলো সে আমাদের সঙ্গে পড়াশুনা করত, কিন্তু শিক্ষা জীবনেই সে মারা যায়  আমি সেই যুবকের জানাযার মতো আর কারও জানাযা দেখিনি, মদীনা মুনাওয়ারার কোনো আলেম, কোনো ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী এমন ছিল না, যারা তার জানাযায় উপস্থিত হয়নি। সেই সময়ের একজন মহান আলেমে দ্বীন, হযরত রাবীআহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তার জানাযা পড়ান। এরপর হযরত রাবিয়া, হযরত যায়েদ বিন আসলাম, হযরত ইয়াহইয়া বিন সায়িদ এবং হযরত ইবনে শিহাব رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ (অর্থাৎ সেই যুগের বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম) তাকে কবরস্থ করেন। 

এই সৌভাগ্যবান ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থীর মৃত্যুর তৃতীয় দিনে একজন ব্যক্তি তাকে স্বপ্নে দেখলো দেখলো যে: এক সুদর্শন যুবক, যে সাদা পোশাক পরিহিত, মাথায় সবুজ পাগড়ি সজ্জিত আর একটি সুন্দর ঘোড়ায় চড়ে আকাশ থেকে নেমে আসছে স্বপ্নদ্রষ্টা তার এই মর্যাদা দেখে বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলো: হে যুবক! তুমি এ অবস্থানে কিভাবে পৌঁছালে? যুবক বললো: আমাকে আমার ইলমে দ্বীন এই মর্যাদায় পৌঁছে দিয়েছে। জ্ঞানের ঐ সকল অধ্যায় যা আমি শিখেছিলাম, আল্লাহ পাক প্রতিটি অধ্যায়ের বিনিময়ে আমাকে জান্নাতে একটি মর্যাদা দান করেছেন। ব্যস ইলমে দ্বীনের বরকতে আমি মর্যাদা লাভ করেছি, যদিও আমি শিক্ষার্থী ছিলাম কিন্তু আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে ওলামায়ে কেরামের মর্যাদায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের আদেশ দিয়েছেন:  আম্বিয়ায়ে কেরাম عَلَیْہِ السَّلَام এর উত্তরাধিকারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি কর! নিশ্চয়ই আমি আমার দয়াময় দায়িত্বে আবশ্যক করেছি যে, যারাই আলেমে দ্বীন বা ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী, তাদের সবাইকে একই স্তরে রাখা হবে। সেই সৌভাগ্যবান দ্বীনি শিক্ষার্থীটি বললো: আমিও ইলমে দ্বীনের শিক্ষার্থী ছিলাম, ব্যস আল্লাহ পাক আমাকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন, এমনকি আমার এবং রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মাঝখানে শুধুমাত্র ২টি স্তরের দূরত্ব রয়ে গেলো, একটি হলো ওই স্তর, যেখানে রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অন্যান্য আম্বিয়া কেরামের عَلَیْهِمُ السَّلَام সাথে উপবিষ্ট আছেন এবং দ্বিতীয়টি হলো ওই স্তর, যেখানে সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان এবং পূর্ববর্তী নবীদের উপর ঈমান আনয়নকারীরা