Book Name:Namaz Mein Khushu Laney Ke 27 Madani Phool
اَلْـحَـمْـدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْـعٰـلَـمِـیْـنَ وَالـصَّـلٰوۃُ وَالسَّـلَامُ عَـلٰی خَـاتَـمِ الـنَّـبِـيّٖـنَ ط
اَمَّا بَعْدُ فَاَعُوْذُ بِا للهِ مِنَ الشَّیْطٰنِ الرَّجِیْمِ ط بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ ط
اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَارَسُوْلَ الله وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَا حَبِیْبَ الله
اَلصَّلٰوۃُ وَالسَّلَامُ عَلَیْكَ یَا نَبِیَّ الله وَعَلٰی اٰلِكَ وَاَصْحٰبِكَ یَانُوْرَ الله
نَوَیْتُ سُنَّتَ الْاِعْتِکَاف
(অর্থাৎ আমি সুন্নাত ইতিকাফের নিয়্যত করলাম।)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখনই মসজিদে প্রবেশ করবেন, মনে করে নফল ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন। কেননা, যতক্ষণ মসজিদে থাকবেন, নফল ইতিকাফের সাওয়াব অর্জিত হতে থাকবে এবং সাধারনভাবে মসজিদে খাওয়া-দাওয়াও জায়িয হয়ে যাবে। ইতিকাফের নিয়্যতও শুধুমাত্র খাওয়া দাওয়া বা ঘুমানোর জন্য যেনো না হয় বরং এর উদ্দেশ্য যেনো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি জন্যই হয়। ফতোয়ায়ে শামীতে বর্ণিত রয়েছে: যদি কেউ মসজিদে খাওয়া দাওয়া বা ঘুমাতে চায় তবে ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কিছুক্ষণ আল্লাহ পাকের যিকির করুন অতঃপর যা ইচ্ছা করুন (অর্থাৎ এবার চাইলে খাওয়া দাওয়া বা ঘুমাতে পারেন)।
দরূদ শরীফের ফযীলত
আমীরুল মুমিনীন হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব رَضِیَ
اللهُ عَنْہُ বলেন:
اِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوْفٌ بَیْنَ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ لَا
یَصْعَدُ مِنْہُ شَیْءٌ حَتّٰی تُصَلِّیَ عَلٰی نَبِیِّکَ صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অর্থাৎ নিশ্চয়ই দোয়া জমিন ও আসমানের মাঝখানে আটকে থাকে এবং তা থেকে কিছুই উপরের দিকে যায় না, যতক্ষণ তোমরা তোমাদের নবী صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করবে না।
(তিরমিযী, কিতাবুল বিতির, খণ্ড: ২, পৃষ্ঠা: ২৮, হাদীস: ৪৮৬)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَفْضَلُ الْعَمَلِ اَلنِّيَّۃُ الصَّادِقَۃُ অর্থাৎ সত্য নিয়্যত সবচেয়ে উত্তম আমল। (জামে সগীর, ৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২৮৪)