Book Name:Darood o Salam Ke Fazail
এক বর্ণনায় রয়েছে; যে ব্যক্তি শাবান মাসে দৈনিক সাতশত (৭০০) বার নবী করীম রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র উপর দরূদ শরীফ পাঠ করবে, তবে আল্লাহ পাক কিছু ফিরিশতা নিযুক্ত করবেন, যাঁরা তার দরূদ শরীফকে হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 'র পবিত্র দরবারে পৌঁছাবে, আর এর ফলে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 'র রূহ মোবারক খুশী হবে। অতঃপর আল্লাহ পাক ঐ ফিরিশতাদের আদেশ দিবেন; “এ ব্যক্তির জন্য কিয়ামত পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকো।"
(আল কাউলুল বদী, আস্সালাতু আলাইহি ফী শাবানা, ৩৯৫ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! যেহেতু এ মাস আমাদের প্রিয় নবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم 'র মাস এবং দরূদ শরীফ পাঠ করার মাস, এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা দরূদ ও সালামের ফযীলত সমূহ শুনবো; যেমনিভাবে
হযরত সায়্যিদ মাহমুদ কুরদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমার সম্মানিত আম্মাজান বলেন, তাঁর পিতামহ (অর্থাৎ হযরত সায়্যিদ মাহমুদ কুরদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র নানাজান, যাঁর নাম ছিল মুহাম্মদ), তিনি আমাকে ওসিয়ত করেছিলেন যে, যখন আমার ইন্তেকাল হবে এবং আমাকে গোসল দেওয়া হবে, তখন ছাদ থেকে আমার কাফনের উপর একটি সবুজ রঙের চিঠি পড়বে, যাতে লিখা থাকবে; “هَذِهِ بَرَاءَة مُحَمَّدِنِ العَالِمِ بِعِلْمِهِ مِنَ النَّارِ অর্থাৎ মুহাম্মদ যিনি আলিম, তিনি ইলমের উসিলায় জাহান্নাম হতে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছেন।” ছোট সে চিঠিটি আমার কাফনে রেখে দিবে। অতএব, গোসলের পর সেই চিঠি পড়লো, যখন লোকেরা কাগজটি পড়ে নিল, তখন আমি সেটা তাঁর বুকের উপর রেখে দিলাম। সে চিঠির একটি বিশেষত্ব ছিলো যে, যেভাবে চিঠির সামনে থেকে পড়া যেতো, সেভাবে চিঠির পিছন থেকেও পড়া যেতো। আমি আমার সম্মানিত আম্মাজানের নিকট জিজ্ঞাসা করলাম: নানাজানের আমল কী ছিলো? আম্মাজান বললেন: “ كَانَ أَكْثَرُ عَمَلِهِ دَوَامُ الذِّكْرِ مَعَ كَثُرَةِ