Darood o Salam Ke Fazail

Book Name:Darood o Salam Ke Fazail

দরূদ শরীফ পাঠ করার সংখ্যা প্রসঙ্গে

বুযুর্গানে দ্বীনের বাণী সমূহ

    () হযরত আল্লামা ইউসুফ নাবহানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এক বুযুর্গের বাণী বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করার সর্বনিম্ন সংখ্যা দৈনিক ৩৫০ বার, দিনে এবং প্রতি রাতে ৩৫০বার দরূদে পাক পড়া উচিত (আফযালুস সালাওয়াত আলা সায়্যিদিস সাআদাত, ৩০ পৃষ্ঠা)

    () হযরত ইমাম আবদুল ওয়াহ্হাব শা'রানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِকাশফুল গুম্মা এর মধ্যে কিছু ওলামায়ে কিরামের বক্তব্য বর্ণনা করেন: তাজেদারে মদীনা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم উপর অধিক হারে দরূদ শরীফের সর্বনিম্ন সংখ্যা, প্রতি রাতে ৭০০বার এবং প্রতিদিন ৭০০বার করে

(কাশফুল গুম্মা, ১ম খন্ড, ৩২৭ পৃষ্ঠা) 

    () প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস হযরত শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০০ বার দরূদ শরীফ অবশ্যই পড়বেন যদি সম্ভব না হয় ৫০০ বারই যথেষ্ট কোন কোন বুযুর্গ দৈনিক ৩০০বার এবং কোন কোন বুযুর্গ ফযর আসর নামাযের পর ২০০বার করে পড়তে বলেছেন এবং কিছু ঘুমানোর সময়ও পাঠ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন আরো বলেন: দৈনিক কমপক্ষে ১০০বার দরূদ শরীফ অবশ্যই পড়া উচিত কতিপয় দরূদ শরীফের এমন বাক্য রয়েছে (যেমন صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم (যেগুলো পাঠ করার দ্বারা ১০০০ এর সংখ্যা সহজে এবং দ্রুত পূর্ণ হয়ে যায় (যদি সেটাকে  ওযীফা বানিয়ে নেওয়া হয়) এবং এমনিতেই যারা অধিকহারে দরূদ শরীফ পাঠ করাই অভ্যস্থ হয়, তাদের উপর তা সহজ হয়ে যায় মোটকথা হলো, যে নবী প্রেমিক হয়, তার দরূদ সালাম পাঠ করার দ্বারা সে স্বাদ মধুরতা অর্জন হয় যা তাঁর রূহে শক্তি জোগায়

(জযবুল কুলুব, ২৩১, ২৩২ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

    হে আশিকানে রাসূল! দৈনিক ১০০বার, ৩০০বার বা সকাল ও সন্ধ্যায় ২০০বার করে। বরং দৈনিক ১০০০ বার দরূদ ও সালাম পাঠ করাও খুব কঠিন কিছু না। এখানে