Darood o Salam Ke Fazail

Book Name:Darood o Salam Ke Fazail

পাঠ করার অর্থাৎ রহমতের দোয়া করার হুকুম দিলেন? কেননা সে বস্তুটিই চাওয়া হয়, যা পূর্বে অর্জন হয়নি, যখন শুরু থেকেই রহমত অবতীর্ণ হচ্ছে, তাহলে চাওয়ার আদেশ দেওয়া হলো কেন?

    হাকীমুল উম্মত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বিস্তারিত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: হে দরূদ সালাম পাঠকারীগণ! কখনো এমন ধারণাও করো না যে, আমার প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ' উপর আমার রহমত তোমাদের চাওয়ার উপর নির্ভরশীল এবং আমার মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  তোমাদের দরূদও সালামের মুখাপেক্ষীতোমরা দরূদ পাঠ করো বা না করো তাঁর উপর আমার রহমত সমূহ সর্বদা অবতীর্ণ হয়ে থাকে তোমাদের সৃষ্টি, তোমাদের দরূদ সালাম পড়াতো এখন থেকে হয়েছে প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم উপর রহমতের বর্ষণ তখন থেকেই যখন "যখন" এবং "কখন" সৃষ্টি হয়নি "যেখানে" "সেখানে" "কোথায়" ইত্যাদিরও পূর্বে তাঁর উপর রহমতই রহমত রয়েছে তোমাদের দরূদ সালাম পাঠ করা অর্থাৎ প্রিয় মাহবুব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  ’ জন্য রহমতের দোয়া চাওয়া তোমাদের নিজেদেরই উপকারের জন্য, তোমরা দরূদ সালাম পড়লে এতে তোমরা অনেক প্রতিদান সাওয়াব লাভ করবে (শানে হাবীবুর রহমান, ১৮৪ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    হে আশিকানে রাসূল! নিঃসন্দেহে আমাদের প্রিয় নবী রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদের দরূদ শরীফের কোন প্রয়োজন নেই বরং এতে দরূদে পাক  পাঠকারীরই উপকার রয়েছে যে দরূদ সালাম যতো বেশি পাঠ করবে, তার  আমল নামায় সাওয়াবের ভান্ডার ততই বেশি হবে কিন্তু শয়তান কখনো এটা চাই না যে, অধিক হারে দরূদ শরীফ পাঠ করার দ্বারা আমাদের নেকী সমূহ বৃদ্ধি পেয়ে যাক হতে পারে এমন কুমন্ত্রণা দিবে যে, অমুক সময় দরূদ শরীফ না পড়া উচিত, অমুক অবস্থায় পাঠ করা নিষেধ বা অমুক অমুক দরূদ শরীফ না পড়া উচিত বা আযানের পূর্বে দরূদ শরীফ পাঠ করা উচিত নয়, তাহলে তৎক্ষণাৎ সে শয়তানী ধারণাকে অন্তর থেকে বের করে দিন এবং উঠতে বসতে চলতে ফেরতে অধিক হারে দরূদ সালাম পড়তে থাকুন কেননা দরূদ শরীফের আধিক্যতা নবীর গোলামদের নিদর্শন