Dil Ki Sakhti

Book Name:Dil Ki Sakhti

বলে দেয়, এর ফলে অনেক সময় মানুষ আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় হাবিব
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে বিয়াদবি মূলক আচরণ করে ঈমানহারা হয়ে যায়। প্রসিদ্ধ মুফাসসির, হাকিমুল উম্মত হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে ব্যক্তির মুখ নির্ভীক হয়ে যায়, সকল ভাল-খারাপ কথা বাধাহীন ভাবে মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে, তখন বুঝে নিবেন যে, তার অন্তর কঠিন হয়ে গেছে, তার কোন লজ্জা নেই। কঠোরতা হচ্ছে সেই বৃক্ষ, যার শিকড় মানুষের অন্তরে এবং সেটার শাখা প্রশাখা দোযখে। এরূপ নির্ভীক ব্যক্তির পরিণতি এমন হয় যে, সে আল্লাহ পাক ও তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারেও বিয়াদব হয়ে অবশেষে কাফির হয়ে যায়।

(মিরআত, ৬/৬৪১)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

দ্বিতীয় ক্ষতি:

অন্তরের কঠোরতার ক্ষতি এটাও যে, মানুষ আল্লাহ পাকের ইবাদত, কুরআনে পাকের তিলাওয়াত এবং নেক আমল থেকেও বঞ্চিত হয়ে যায়, অথচ আমাদের জীবনের লক্ষ্যই হলো আল্লাহ পাকের ইবাদত এবং নেক আমলের দিকে আগ্রহ রাখা। যেমনটি আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:

 

وَ مَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَ الْاِنْسَ  اِلَّا لِیَعْبُدُوْنِ (۵۶) 

(পারা ২৭, যারিয়াত, আয়াত ৫৬)                কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং আমি জিন ও মানব এতটুকুর জন্যই সৃষ্টি করেছি যে, আমার ইবাদত করবে।

 

অপর এক জায়গায় ইরশাদ করেন:

 

الَّذِیْ  خَلَقَ الْمَوْتَ وَ الْحَیٰوۃَ لِیَبْلُوَکُمْ  اَیُّکُمْ  اَحْسَنُ عَمَلًا ؕ

(পারা ২৯, মুলক, আয়াত ২)                     কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: তিনি, যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমাদের পরিক্ষা হয়ে যায়- তোমাদের মধ্যে কার কর্ম অধিক উত্তম।

 

চিন্তা করুন! আমাদের জীবনের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহ পাকের ইবাদত এবং অধিকহারে নেক আমল করা, কিন্তু অন্তরের কঠোরতা এমন একটি রোগ যার কারণে মানুষ নিজের জীবনের লক্ষ্য পর্যন্ত ভুলে যায়।

তৃতীয় ক্ষতি:

অন্তরের কঠোরতার একটি ক্ষতি এটাও যে, এর মারাত্মক প্রভাবে পূর্বের নেক আমল সমূহ নষ্ট হয়ে যায়।  যেমন: প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: ছয়টি বিষয় আমলকে নষ্ট করে দেয়। (১) সৃষ্টির ত্রুটি অন্বেষণে লেগে থাকা, (২) অন্তরের কঠোরতা, (৩) দুনিয়ার ভালবাসা, (৪) লজ্জা কম হওয়া, (৫) দীর্ঘ আশা করা, (৬) অতিরিক্ত অত্যাচার।

(কানযুল উম্মাল, কিতাবুল মাওয়ায়িয, ১৬তম অংশ, ৮/৩৬, হাদিস: ৪৪০১৬)