Book Name:Darood o Salam Ke Fazail
আস্তে উম্মতি উম্মতি (আমার উম্মত) ইরশাদ করছিলেন। কিয়ামতের দিনও তাঁর ছায়াতলে আশ্রয় পাওয়া যাবে। সমস্ত আম্বিয়ায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ السَّلَام
نَفْسِي نَفْسِي اذْهَبُوا إِلَى غَيْرِى (আজ আমি নিজেকে নিয়ে চিন্তিত, তাই অন্যজনের নিকট চলে যাও) বলতে থাকবে। আর অসহায়দের সহায়, উম্মতের কান্ডারী নবীর মুখে يَارَبٍ أُمَّتِى أُمَّتِى অর্থাৎ হে আল্লাহ্! আমার উম্মত উম্মত বলতে থাকবেন। (মুসলিম, বাবু আদনা আহলিল জান্নাতি, ১০৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ৩২৬) সুতরাং যখন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সারা জীবন না শুধুমাত্র নিজের গুনাহগার উম্মতকে স্মরণ রেখেছেন বরং কিয়ামতের দিনেও আমাদেরকে শাফায়াত করবেন। সুতরাং ভালোবাসা এবং মনুষত্ত্বেরও চাহিদা হলো, আমরাও উম্মত হওয়ার প্রমাণার্তে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র সুন্নাতের উপর আমল করা এবং হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র উপর দরূদ ও সালাম পেশ করার ক্ষেত্রে কখনো উদাসীনতা প্রদর্শন না করা।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাদেরকে অনেক ভালোবাসেন, সর্বদা নিজের গুনাহগার উম্মতকে ক্ষমা করানোর জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে আকুতি ও দোয়া করতেন। নিঃসন্দেহে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র আমাদের উপর অসংখ্য দয়া রয়েছে, কিন্তু এর কৃতজ্ঞতা আদায় করা আমাদের পক্ষে মোটেও সম্ভব নয়। শুধুমাত্র এতটুকুই করতে পারি যে, তাঁর উপর দরূদ ও সালামের উপহার প্রেরণ করতে পারি, অর্থাৎ হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র ব্যাপের রহমতের দোয়া করা যেমন- একজন মিসকিন দানশীল ব্যক্তিকে দোয়া দিয়ে থাকে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! দরূদ শরীফ পাঠ করার একটি নেক বড় উপকারীতা এটাও যে, কিয়ামতের দিন রহমতে আলম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র শাফায়াত নসীব হবে।