Book Name:Darood o Salam Ke Fazail
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا থেকে বর্ণিত; مَنْ صَلَّى عَلَى يَوْمَ الْجُمُعَةِ كَانَتْ شَفَاعَةٌ لَهُ عِنْدِي يَوْمَ الْقِيَامَة অর্থাৎ যে ব্যক্তি জুমার দিন আমার উপর দরূদ শরীফ পাঠ করবে কিয়ামতের দিন তার জন্য সুপারিশ করা আমার দয়ার দায়িত্বে থাকবে ।
(কানযুল উম্মাল, কিতাবুল আযকার ১/২৫৫, প্রথম অংশ, হাদীস নং- ২২৩৬)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! কিয়ামতের দিনের ব্যাপারে ২৯ পারার সূরাতুল মা'আরিজ এর ৪নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে;
كَانَ مِقْدَارُهُ خَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ
(পারা: ২৯, সূরা: মাআরিজ, আয়াত: ৪)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: যার পরিমাণ হবে পঞ্চাশ হাজার বছর।
সে দিন সূর্য আগুন বর্ষণ করবে, তামার উত্তপ্ত জমিন হবে, প্রত্যেকে ঘামের সমূদ্রে ভাসতে থাকবে, প্রচন্ড পিপাসায় মুখ শুকিয়ে কাঁটা হয়ে যাবে, হায়! হায়! এর এক অবস্থার উন্মেষ ঘটবে। এ কঠিন মুহূর্তে কেউ কারো অবস্থা জিজ্ঞাসা করবে না। ৩০ পারার সূরা আবাসা এর ৩৪-৩৬ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ وَأُمّهِ وَأَبِيْهِ وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيْهِ
(পারা: ৩০, সূরা: আবাসা, আয়াত: ৩৪-৩৬)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এ দিন মানুষ পলায়ন করবে নিজ ভাই, মাতা-পিতা, স্ত্রী এবং সন্তান-সন্ততি হতে।
এমন কঠিন মুহূর্তে যখন কেউ কোন অবস্থা জিজ্ঞাসা করার থাকবে না, সকল আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ السَّلَام ’র পক্ষ থেকেও"إذْهَبُوْا إِلَى غَيْرِى অর্থাৎ অন্য কারো নিকট যাও উত্তর আসবে। এমন অবস্থায় একজন মহান সত্ত্বাই সহায়ক হবেন, যিনি আমাদের মতো গুনাহগারদের আশার আলো দেখাবেন, আমাদের অসহায়ত্বের সহায় (Support) হবেন। যার মুখে "انا لها" অর্থাৎ শাফায়াতের জন্য আমিই আছি এর বাণী উচ্চারিত হতে থাকবে। জি, হ্যাঁ! ঐ পবিত্র সত্তা আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم থাকবেন যিনি আল্লাহ পাকের দরবারে সিজদায় পতিত হয়ে গুনাহগার উম্মতের জন্য শাফায়াত করবেন।