Namaz Ki Ahmiyat

Book Name:Namaz Ki Ahmiyat

গেছেন, এতো পথ পায়ে হেঁটে কিভাবে যাবে? মুখ ফিরিয়ে দেখলেন যে, এক অপরিচিত উট চালক নিজের উট নিয়ে অপেক্ষা করছে, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আল্লাহ পাকের হামদ পাঠ করে তাতে আরোহন করলেন। (মলফুযাতে আলা হযরত, ২১৭ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          سُبْحٰنَ الله! হে আশিকানে রাসুল! এটাই হলো আলা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِর নামাযের প্রতি টান এবং ইবাদতের প্রতি আগ্রহ যে, দীর্ঘ অসুস্থতা, খুবই দূর্বল ও সফরের গ্লানির পরও কাফেলার সঙ্গ তো ছেড়ে দিলেন কিন্তু সবচেয়ে উত্তম ইবাদত নামায ছাড়াকে পছন্দ করলেন না। আমাদের উচিৎ যে, আনন্দ হোক বা দুঃখ সর্বাবস্থায় নামাযের নিয়মানুবর্তিতা করা এবং যারা নামায পড়তে পারেন না, তারা শিখতে কখনোই লজ্জাবোধ করবেন না। আর যারা নামায পড়তে তো জানে কিন্তু পড়ে না এবং এমন শয়তানী কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে আছেন, “আমরা তো খুবই গুনাহগার বান্দা, আমরা আল্লাহ পাকের সামনে দাঁড়ানোর যোগ্য নই” বা “প্রথমে নেক হয়ে যাই, দাড়ি রেখে নিই অতঃপর নামাযও শুরু করবো” এমন লোকদের উচিৎ দ্রুত এই শয়তানী কুমন্ত্রণাকে রদ করে নামায শুরু করে দেয়া, اِنْ شَآءَ الله এর বরকতে সে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে সফল হয়ে যাবে। আল্লাহ পাক কোরআনে করীমের ২১ পারায় সূরা আনকাবুতের ৪৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেন:

اِنَّ الصَّلٰوۃَ  تَنْہٰی عَنِ الْفَحْشَآءِ  وَ الْمُنْکَرِ ؕ

(পারা ২১, সূরা আনকাবুত, আয়াত ৪৫)                       কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।

 

          সদরুল আফাযীল হযরত আল্লামা মাওলানা সায়্যিদ মুহাম্মদ নাঈমুদ্দীন মুরাদাবাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতে মুবারাকার তাফসীরে বলেন: যে ব্যক্তি নিয়মিত নামায আদায় করে এবং তা উত্তম রূপে আদায় করে, ফল এরূপ হয় যে, একদিন না একদিন সে এই মন্দ কাজ গুলো বর্জন করে দেয়, যাতে সে লিপ্ত ছিলো।

 

          হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত যে, এক আনসারী যুবক সায়্যিদী আলম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সাথে নামায আদায় করতো এবং  অনেক কবীরা গুনাহও করতো, হুযুর صَلَّی اللهُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলো, ইরশাদ করলেন: তার নামায তাকে কোন না কোন দিন এই বিষয় থেকে পৃথক করে দেবে। সুতরাং খুবই অল্প সময়ে সে তাওবা করলো এবং তার অবস্থার উন্নতি হলো। (খাযায়িনুল ইরফান)

          আফসোস! আমাদের সমাজে একটি দল এমনও আছে যে, যারা নামায পড়ার পরও হারাম ও নাজায়িয কাজ থেকে বাঁচতে পারে না। কিন্তু এমন কেন?

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হতে পারে যে, আমরা নামাযের প্রকাশ্য এবং গোপনীয় সুন্নাত ও আদবসমূহ সঠিক ভাবে লক্ষ্য রাখি না, যার কারণে এখনো পর্যন্ত বরকত অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি। যদি সঠিকভাবে ওযু করে বিনয় ও নম্রতা সহকারে এর সকল প্রকার প্রকাশ্য ও