Namaz Ki Ahmiyat

Book Name:Namaz Ki Ahmiyat

সমপরিমাণ বসে ওয়াজিব, সুন্নাত ও আদব সমূহ পুরোপুরি ভাবে লক্ষ্য রাখাই হচ্ছে উপার্জনে বরকত লাভের উপায়। (রাহে ইলম, ১০৫ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

২নং নেক আমলের প্রতি উৎসাহ প্রদান

          তাহলে আসুন! মিলেমিশে নিয়্যত করি, আজ থেকে আমাদের কোন নামায কাযা হবে না اِنْ شَآءَ الله পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাত সহকারে মসজিদের প্রথম সারিতে আদায় করবো اِنْ شَآءَ الله অপরকেও নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ প্রদান করবো اِنْ شَآءَ الله মসজিদকে আবাদ করবো
اِنْ شَآءَ الله মসজিদ ভরা সংগঠনের সাথে থাকবো اِنْ شَآءَ الله এবং এই মাদানী চিন্তাধারা নিজের মধ্যে ধারণ করার জন্য আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশের সাথে দৃঢ়তার সহিত সম্পৃক্ত থাকতে যেলী হালকার ১২ দ্বীনি কাজে পুরোপুরি অংশ গ্রহণ করবো اِنْ شَآءَ الله নেক আমল রিসালার উপর আমল ও মাদানী কাফেলায় সফর করতে থাকবো اِنْ شَآءَ الله শায়খে তরিকত আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہর প্রদান কৃত ৭২ নেক আমল থেকে ২ নং নেক আমল হলো: আপনি কি আজ পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাত সহকারে আদায় করেছেন? (হায়! তাকবীরে উলার সাথে যদি ১ম কাতার কখনো না ছুটে) এই নেক আমলের উপর আমল করার বরকতে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাআত সহকারে আদায় করার অভ্যাস হয়ে যাবে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমরা নামাযের গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে শুনছিলাম। মনে রাখবেন! নামায হচ্ছে দ্বীনের স্তম্ভ, নামায রোগ বালাই থেকে রক্ষা করে, নামায উপার্জনে বরকতের উপায় এবং কবরের আযাব থেকে বাঁচানোর পাশাপাশি অন্ধকার কবরের প্রদীপ স্বরূপ। কোরআন ও হাদীসে যেখানেই নামায আদায়ের আদেশ এসেছে, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নামাযকে সকল ফযরসমূহ ও ওয়াজিব সমূহ সহকারে আদায় করাই। আর পুরুষদের জন্য নামাযের ওয়াজিব সমূহের মধ্যে এটাও রয়েছে যে, তা জামাত সহকারে পড়া। হাদীসে মুবারাকায় জামাত সহকারে নামায পড়ার অসংখ্য ফযীলত বর্ণিত হয়েছে, আসুন! উৎসাহ গ্রহণার্থে  প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّمর ৩টি বাণী শ্রবণ করি:

১.  “জামাত সহকারে নামাযের মর্যাদা একাকী নামাযের চেয়ে সাতাইশ (২৭) গুণ বেশী।” (বুখারী, কিতাবুল আযান, ১/২৩২, হাদীস নং-৬৪৫)

২.  ইরশাদ হচ্ছে: “যে পরিপূর্ণ ভাবে ওযু করলো, অতঃপর ফরয নামাযের জন্য চললো এবং ইমামের সাথে নামায পড়লো, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।” (শুয়াবুল ঈমান, ৩/৯, হাদীস নং-২৭২৭)

৩.  ইরশাদ হচ্ছে: “যখন বান্দা জামাত সহকারে নামায পড়ে অতঃপর আল্লাহ পাকের নিকট নিজের চাহিদা ভিক্ষা করে তবে আল্লাহ পাক এই বিষয়ে লজ্জাবোধ করেন যে, বান্দার চাহিদা পূরণ হওয়ার পূর্বে ফিরে যাবে।” (হিলইয়াতুল আউলিয়া, মুসআর বিন কিদাম, ৭/২৯৯, হাদীস নং-১০৫৯১)