Namaz Ki Ahmiyat

Book Name:Namaz Ki Ahmiyat

          سُبْحٰنَ الله! নামাযীদের জন্য আল্লাহ পাকের দরবারে কেমন কেমন আজিমুশশান নেয়ামত রয়েছে যে, কখনো তাদের জান্নাত ও মাগফিরাতের সুসংবাদ দেয়া হয়, কখনো মহান প্রতিদানের সুসংবাদ শুনানো হয়, হাদীসে মুবারাকায়ও নামাযের অনেক বেশী গুরুত্ব এবং আগ্রহ প্রদান করা হয়েছে। যদি আমরা নামাযের সময় হতেই নিজের সকল প্রকার দুনিয়াবী ঝামেলা ছেড়ে দিয়ে নামাযের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে যাই এবং খুবই বিনয় ও নম্রতার সহিত জামাত সহকারে নামায আদায় করি তবে এর বরকতে যেমনি দুনিয়াবী অসংখ্য কল্যাণ নসীব হবে, তেমনি এর একটি পরকালীন উপকারীতাও অর্জিত হবে যে, কাল কিয়ামতের দিন এই নামাযই আমাদের মুক্তি ও মাগফিরাতের মাধ্যম হয়ে যাবে।

 

 

বিনয় ও নম্রতার সহিত নামায আদায়কারীর মাগফিরাত

          নবীয়ে করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আল্লাহ পাক ৫ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন, যে এর জন্য উত্তম পদ্ধতিতে ওযু করবে এবং তা তার সময়ে আদায় করবে আর এর রুকু ও সিজদা বিনয়  ও নম্রতার সহিত সম্পন্ন করবে তবে আল্লাহ পাকের দয়াময় দায়িত্ব হচ্ছে যে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া এবং যে তা আদায় করবে না তবে আল্লাহ পাকের দায়িত্বে তার জন্য কিছুই নেই, চাইলে ক্ষমা করে দিবেন এবং চাইলে তাকে আযাব দিবেন। (সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, নম্বর-৪২৫, ১/১৮৬)

 

নামাযে শিফা রয়েছে

          হে আশিকানে রাসূল! যে সৌভাগ্যবানরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে আল্লাহ পাক এর বরকতে তাদেরকে রোগ বালাই থেকে শিফা দান করেন। আজ আমাদের এখানে এমন সব নতুন নতুন রোগের প্রকাশ হচ্ছে, যা আজকের পূর্বে নামও শুনিনি, এর চিকিৎসার জন্য লাখো টাকা খরচ করার পরও রোগ বাড়তেই থাকে, যদি আমরা আল্লাহ পাক এবং তাঁর রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণীর উপর আমল করে নামাযের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করা শুরু করি তবে اِنْ شَآءَ الله রোগ বালাই থেকে মুক্তি পেতে পারি।

          প্রিয় আক্বা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মহান ইরশাদ হচ্ছে: اِنَّ فِی الصَّلٰوۃِ شِفَاءً অর্থাৎ নিশ্চয় নামাযে শিফা রয়েছে। (ইবনে মাজাহ, বাবুস সালাতিশ শিফা, ৪/৯৮, হাদীস নং-৩৪৫৮) সুতরাং আমাদের উচিৎ যে, রোগ বালাই বা সুস্থতা সর্বদা শুধু নিজে নামাযের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করবো না বরং নিজের পরিবার পরিজনদেরও নামাযে অভ্যস্ত করবো।

রোজগারে বরকত

          হে আশিকানে রাসূল! যে সৌভাগ্যবানরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে আল্লাহ পাক তাদের রোজগারে বরকত প্রদান করেন। আজকের এই ফিতনা ফ্যাসাদের যুগে সকলেই উপার্জনের ধ্যানে মগ্ন রয়েছে, কিন্তু পুরো পুরো দিন সম্পদ উপার্জনের পরও প্রত্যেকেই এই অভিযোগ নিয়ে বসে আছে যে, এতো টাকা উপার্জন করি তবুও বরকত হয় না। মনে রাখবেন! পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় এবং এতে বিনয় ও নম্রতা আর ধারাবাহিক ভাবে এর শর্তগুলো আদায়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে অর্থাৎ রুকু সিজদা এবং বৈঠকে কমপক্ষে একবার سُبْحٰنَ الله! বলা