Qiyamat Ki Alamaat

Book Name:Qiyamat Ki Alamaat

আদব সম্পন্নরাই সৌভাগ্যবান

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা ঐ হাদীসে পাক থেকে আমরা জানতে পেরেছি, তা হলো, হযরত জিব্রাঈল আমিন عَلَیْهِ السَّلَام জানতেন যে, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আল্লাহ পাকের দানক্রমে গাইব জানেন এবং এটাও জানতেন যে, কিয়ামত কবে আসবে। এই কারণেই তিনি হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট কিয়ামতের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন। হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এখানে হযরত জিব্রাঈল আমিন عَلَیْهِ السَّلَام প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে পরীক্ষা বা অক্ষমতাকে প্রকাশ করার জন্য তো প্রশ্ন করছেন না বরং এটা দেখানোর জন্য যে, রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কিয়ামত সম্পর্কে জ্ঞান তো আছেই কিন্তু তা প্রকাশ করেননি। মনে রাখবেন! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم অন্য এক সময়ে কিয়ামতের দিনও বলে দিয়েছেন, মাসও তারিখও জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইরশাদ করেন: জুমার দিন হবে, মুহাররম মাসের দশ তারিখ হবে। (মিরাতুল মানাজিহ, ১/৬২) যেমনটি হাদীসে পাকে রয়েছে: কিয়ামত আশুরার দিন অর্থাৎ মুহাররম মাসের দশ তারিখে হবে। (ফাযায়িলুল আওকাত, ১১৯ পৃষ্ঠা, হাদীস ২৮২)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

কিয়ামতের নিদর্শনাবলী

          প্রিয় ইসলামী বোনেরা! কিয়ামত তো আসবেই, কিন্তু তা আসার পূর্বে কিছু নিদর্শনও রয়েছে, যা এই বিষয়টিকে চিহ্নিত করবে যে, কিয়ামত সমাগত। এই হাদীসে পাকে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞাত আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কিয়ামতের দু’টি নিদর্শন বর্ণনা করেছেন। একটি হলো, বাঁদী তার মালিককে জন্ম দিবে, অন্যটি হলো খালি পা, খালি শরীর, অসহায় এবং ছাগল চরাণোর রাখাল উচ্চ ও উন্নত বাড়ি নির্মাণ করাতে একে অপরের উপর গর্ব করবে। কিয়ামতের এই দু’টি নিদর্শন সম্পর্কে আরো বিস্তারিতও বর্ণনা করা হবে। এই নিদর্শনাবলী ছাড়াও হাদীসে মুবারাকায় কিয়ামতের আরো নিদর্শনাবলীও বর্ণিত হয়েছে। “বাহারে শরীয়া” এ হাদীসে পাকের আলোকে কিয়ামতের অনেক নিদর্শনাবলী লিপিবদ্ধ হয়েছে, আসুন! তা থেকে কয়েকটি সম্পর্কে শুনি:

 

          * ইলম উঠিয়ে নেয়া হবে (অর্থাৎ ওলামা উঠিয়ে নেয়া হবে) * যখন কোন আলিম থাকবে না তখন লোকেরা (বাধ্য হয়ে) জাহেলদের (অজ্ঞদের) নেতা (পথপ্রদর্শক) বানিয়ে নিবে। * অতঃপর তাদের কাছ থেকে দ্বীনি মাসআলা জিজ্ঞাসা করবে তখন তারা ইলম ব্যতীত ফতোয়া দিবে, তখন তারাও পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করে দিবে। (বুখারী, কিতাবুল ইলম, ১/৫৪, হাদীস ১০০) * মূর্খতার আধিক্য হবে। * অপকর্ম ব্যাপক হবে। * পুরুষ কমে যাবে এবং নারী বেড়ে যাবে, এমনকি একজন পুরুষের তত্বাবধানে  পঞ্চাশজন (৫০) নারী থাকবে। (বুখারী, কিতাবুন নিকাহ,