Ikhtiyarat e Mustafa

Book Name:Ikhtiyarat e Mustafa

মিসওয়াককে সেই ভাবে ফরয করে দিতাম যেভাবে আমি তাদের উপর অযুকে ফরয করেছি

(মুসনাদে আহমদ, মুসনাদে ফযল বিন আব্বাস, /৪৫৯, হাদীস: ১৭৩৫)

. لَوْلَا اَنْ اَشُقَّ عَلٰى اُمَّتِيْ لَاَمَرْتُهُمْ اَنْ يُّـؤََخِّـرُوا الْعِشَاءَ اِلٰى ثُلُثِ اللَّيْلِ اَوْ نِصْفِہٖ অর্থাৎ যদি আমার উম্মতের কষ্টের কথা মাথায় না থাকতো তবে আমি ইশার নামাযকে রাতের এক তৃতীয়াংশে বা মাঝ রাত পর্যন্ত দেরী করার জন্য অবশ্যই আদেশ দিতাম (তিরমিযী, কিতাবুস সালাত, /২১৪, হাদীস - ১৬৭)

. وَلَوْلاَ ضَعْفُ الضَّعِيفِ وَسُقْمُ السَّقِيمِ لَاَخَّرْتُ هٰذِهِ الصَّلَاةَ اِلٰى شَطْرِ اللَّيْلِ অর্থাৎ যদি বৃদ্ধদের দূর্বলতা এবং অসুস্থদের অসুস্থতার চিন্তা না হতো, তবে এই নামায (অর্থাৎ ইশার নামায)কে অর্ধেক রাত পর্যন্ত অবশ্যই ফেরী করে দিতাম (আবু দাউদ, কিতাবুস সালাত, /১৮৫, হাদীস: ৪২২)

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই মোবারক হাদীসমূহের মাধ্যমে জানা গেল, হুযুরে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যদি চাইতেন তবে ইশার নামাযের সময়কে পরিবর্তন করে দিতেন, তখন রাতের এক তৃতীয়াংশে বা অর্ধেক রাতের পূর্বে ইশার নামায পড়াটা জায়েজ হতো না (মিরাতুল মানাজিহ, /৬৮০)  এমনিভাবে অযুর মধ্যে মিসওয়াক করাটা ফরজ করে দিতেন,তখন মিসওয়াক ছাড়া নামাযই হতো না,কিন্তু উম্মতের সহজতার জন্য এরূপ করেননি

    মনে রাখবেন! মিসওয়াক শরীফ আমাদের প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অত্যন্ত প্রিয় একটি সুন্নাত

    উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا থেকে বর্ণিত;

اَنَّ النَّبِیَّ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَسَلَّمَ کَانَ اِذَا دَخَلَ بَیْتَہُ بَدَاَ بِالسِّوَاکِ অর্থাৎ নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যখন দৌলত খানায় (ঘরে) তাশরীফ নিয়ে আসতেন, সর্ব প্রথম মিসওয়াক করতেন। (মুসলিম, কিতাবুত তাহারাত, বাবুস সিওয়াক, ১৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস: ২৫৩) আর রাত বা দিন যখনই আরাম