আলোকিত করে দিলো। ভুলুণ্ঠিত মানবতা যার আগমনের প্রতীক্ষায় ব্যাকুল ছিল, সেই তাজেদারে রিসালাত, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সমগ্র বিশ্ব জগতের জন্য রহমত হয়ে এই পৃথিবীতে শুভাগমন করলেন।

    ১২ই  রবিউল আউয়ালে হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দুনিয়াতে শুভাগমন করার সাথে সাথেই কুফরী ও শিরকের মেঘ কেটে গেলো। ইরান সম্রাট ‘কিসরার’ প্রাসাদে ভূকম্পন হল, ১৪টি গম্বুজ ধ্বংস হয়ে গেল, ইরানের যে অগ্নিকুণ্ড এক হাজার বছর ধরে জ্বলছিল তা হঠাৎ নিভে গেলো, সা’ওয়া নদী শুকিয়ে গেল, কা’বা শরীফে ভাবাবেগ (ওয়াজ্দ) এসে গেলো।

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আজকের এই মহান নূরানী রাতে হযরত আমেনা رَضِیَ اللهُ عَنْہَا এর বাগানের সুবাসিত ফুল, রাসূলে মাকবুল, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শান ও মহত্বের মোবারক আলোচনা করে আমাদের সত্ত্বাকে রহমত ও বরকত দ্বারা পূর্ণ করার চেষ্টা করব। আজকের বয়ানে আমরা এটাও শুনবো যে, আল্লাহ পাক আমাদের আক্বা, উভয় জাহানের দাতা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে কি কি ক্ষমতা প্রদান করেছেন। হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হুকুমত কিরূপ শান ও মর্যদা বিশিষ্ট, তা মনোযোগ সহকারে শুনব এবং বুঝার চেষ্টা করবো اِنْ شَآءَ الله। এই নূরানী রাতের অপুরন্ত বরকত ও রহমত অর্জিত হবে।

    আসুন! বয়ানের পূর্বে আশিকে মাহে মিলাদ ও আশিকে মাহে রিসালাত, আমীরে আহলে সুন্নাত, হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর প্রদত্ত শ্লোগান দ্বারা এই নূরানী রাতকে স্বাগতম জানাই। যদি সম্ভব হয় তবে মাদানী ঝান্ডা (পতাকা) উড়িয়ে খুবই উৎসাহ ও উদ্দীপনা, ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে মারহাবা ইয়া মুস্তফার সাড়া জাগিয়ে তুলুন।