Book Name:Namaz Ki Ahmiyat
গভীর ছিলো, সুতরাং পাগড়ী বেঁধে পানি উঠালেন এবং ওযু কওে ওয়াক্তের মধ্যেই নামায আদায় করলেন। কিন্তু এখন এই চিন্তায় পড়ে গেলো যে, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে খুবই দূর্বল হয়ে গেছেন, এতো পথ পায়ে হেঁটে কিভাবে যাবে? মুখ ফিরিয়ে দেখলেন যে, এক অপরিচিত উট চালক নিজের উট নিয়ে অপেক্ষা করছে, তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আল্লাহ পাকের হামদ পাঠ করে তাতে আরোহন করলেন। (মলফুযাতে আলা হযরত, ২১৭ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
سُبْحٰنَ الله! হে আশিকানে রাসুল! এটাই হলো আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ’র নামাযের প্রতি টান এবং ইবাদতের প্রতি আগ্রহ যে, দীর্ঘ অসুস্থতা, খুবই দূর্বল ও সফরের গ্লানির পরও কাফেলার সঙ্গ তো ছেড়ে দিলেন, কিন্তু সবচেয়ে উত্তম ইবাদত নামায ছাড়াকে পছন্দ করলেন না। আমাদের উচিৎ যে, আনন্দ হোক বা দুঃখ সর্বাবস্থায় নামাযের নিয়মানুবর্তিতা করা এবং যারা নামায পড়তে পারেন না, তবে শিখতে কখনো লজ্জাবোধ করবেন না। আর যারা নামায পড়তে তো জানে কিন্তু পড়ে না এবং এমন শয়তানী কুমন্ত্রণার শিকার হয়ে আছেন, “আমরা তো খুবই গুনাহগার বান্দা, আমরা আল্লাহ পাকের সামনে দাঁড়ানোর যোগ্য নই” বা “প্রথমে নেক হয়ে যাই, দাড়ি রেখে নিই অতঃপর নামাযও শুরু করবো” এমন লোকেদের উচিৎ দ্রুত এই শয়তানী কুমন্ত্রণাকে দূরীভূত করে নামায শুরু করে দেয়া, اِنْ شَآءَ الله এর বরকতে সে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে সফল হয়ে যাবে। আল্লাহ পাক কুরআনে করীমের ২১ পারায় সূরা আনকাবুতের ৪৫নং আয়াতে ইরশাদ করেন:
اِنَّ الصَّلٰوۃَ تَنۡہٰی عَنِ الۡفَحۡشَآءِ وَالۡمُنۡکَرِ ؕ
(পারা ২১, সূরা আনকাবুত, আয়াত ৪৫)