Namaz Ki Ahmiyat

Book Name:Namaz Ki Ahmiyat

 

          তাফসীরে সিরাতুল জিনানে এই আয়াতে মুবারাকার আলোকে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, নামায না পড়া বা শুধুমাত্র মানুষের সামনে পড়া আর একাকীত্বে না পড়া বা মানুষের সামনে বিনয় ও নম্রভাবে আর একাকীত্বে তাড়াতাড়ি পড়া অথবা নামাযে এদিক সেদিক মনোযোগ নিয়ে যাওয়া, একাগ্রতার চেষ্টা না করা ইত্যাদি সবকিছুই অলসতার নিদর্শন। (সিরাতুল জিনান, ২/৩৩৫) আফসোস! আজ আমাদের সমাজে শুধু অলসতা এবং আরাম প্রিয়তার কারণে রোজ নামায কাযা করে দেয়া হয় আর গুনাহ সম্পাদনের জন্য অলসতা দ্রুত কর্মক্ষমতায় পবির্তন হয়ে যায়। অনেকে তো এমনও রয়েছে যে, যখন তাদের এক বা একাদিক নামায কাযা হয়ে যায় তখন সাপ্তাহের পর সাপ্তাহ বরং মাসের পর মাস জেনে শুনে নামায পড়ে না এবং যদি কোন ইসলামী ভাই তাদের প্রতি ইনফিরাদী কৌশিশ করে নামাযে উৎসাহ দেয় তবে বলে যে, “এবার اِنْ شَآءَ الله َ আগামী শুক্রবার থেকে আবারো নামায পড়া শুরু করবো বা রমযান থেকেই নিয়মিত নামায আদায় করবো” ইত্যাদি, এভাবেই যেন কোন প্রকার লাজ লজ্জা ছাড়াই খুবই বাহাদুরী সহকারে مَعَاذَ الله  এই বিষয়ের স্বীকৃতি দেয়া হয় যে, নামায ত্যাগ করার এই কবীরা গুনাহ আমি শুক্রবার বা রমযানুল মুবারক পর্যন্ত নিয়মিত অব্যাহত রাখবো। নিঃসন্দেহে এসব কিছু খোদাভীতি এবং ইবাদতের আগ্রহ না থাকার শাস্তি, নয়তো যার অন্তরে আল্লাহ পাকের ভয় এবং ইবাদতের আগ্রহ রয়েছে সে সর্বাবস্থায় নামাযের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করে এবং আল্লাহ পাকের অবাধ্যতা থেকে বিরত থাকে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদেরও নামাযের নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা করে পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদের প্রথম সারিতে তাকবীরে উলার সাথে  জামাত সহকারে আদায় করা উচিৎ। আসুন! আল্লাহ পাকের আযাবের প্রতি নিজেকে ভীত করতে এবং নামাযের অভ্যাস গড়তে নামায না পড়ার ৪ টি শাস্তি সম্পর্কে শ্রবণ করি।

১.  হযরত সায়্যিদুনা আবু দারদা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: আমার খলিল صَلَّی اللهُ  عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে উপদেশ দিয়েছেন যে, কাউকে আল্লাহ পাকের অংশীদার বানাবে না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করে দেয়া হয় বা জ্বালিয়ে দেয়া হয়, ফরয নামায জেনে শুনে বর্জন করো না কেননা যে জেনে শুনে নামায বর্জন করে দেয় তার থেকে নিরাপত্তা উঠিয়ে নেয়া হয় এবং কখনো মদ পান করো না কেননা এটি সকল মন্দের মূল। (ইবনে মাজাহ, আবওয়াবুল আশরিবা, হাদীস নং-৪০৩৪, ৪/৩৭৬ পৃষ্ঠা)

২.  ইরশাদ হচ্ছে: যে নামায ছেড়ে দিলো তবে সে আল্লাহ পাকের সাথে এই অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তিনি তার প্রতি গযব অবতীর্ণ করবেন। 

(মাজমাউয যাওয়ায়িদ, কিতাবুস সালাত, হাদীস নং-১৬৩২, ২/২৬)

৩.  ইরশাদ হচ্ছে: যে নামায ছেড়ে দিলো তবে সে তার পরিবার পরিজন এবং সম্পদে কমতি করলো। (কানযুল উম্মাল, কিতাবুস সালাত, হাদীস নং-১৯০৮৫, ৭/১৩২)

৪.  ইরশাদ হচ্ছে: যে জেনে শুনে নামায ত্যাগ করলো তবে নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাকের দায়িত্ব তার থেকে দূরে সরে গেলো।

(মুজামুল কবীর, ১২/১৯৫, হাদীস নং-১৩০২৩)