Book Name:Shetan Ki Insan Se Dushmani
লোকজন
তাকে কোমল হৃদয়ের অধিকারী বলে। (৮) হাতে এজন্য তাসবীহ রাখা এবং মানুষকে দেখানো, লোকজনের সামনে বিড়বিড় করা বা আওয়াজ
করে পড়া, অনুরূপভাবে দরূদ ও যিকির
করা যে, লোকজন তাকে নেক্কার মনে
করবে। (৯) লোকজনের সামনে পানাহার, উঠাবসা
ইত্যাদির সময় যত্নের সাথে সুন্নাতের প্রতি লক্ষ্য রাখা, আর একাকী সুন্নাতের অনুসরন করে
না।
(১০) দাওয়াতে বা কারো উপস্থিতিতে কম খাওয়া যাতে লোকজন তাকে সুন্নাতের অনুসারী ও স্বল্পভোজী
লোক বলে জানে। (নেকীর
দাওয়াত, ৭৩ পৃষ্ঠা)
আল্লাহ পাক লৌকিকতা থেকে আমাদের রক্ষা করুন।
اٰمِين بِجا هِ النَّبِىِّ الْاَمين صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! লৌকিকতা থেকে বাঁচার জন্য ইবাদতের মাঝেও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন, কেননা শয়তান অনবরত আমাদের অন্তরে কুমন্ত্রণা প্রদান করার চেষ্টায় রত আছে, সুতরাং যেমনিভাবে নেক আমলের পূর্বে অন্তরে একনিষ্টতা থাকা আবশ্যক, তেমনিভাবে প্রত্যেক নেকী ও ইবাদতের মাঝেও তা বহাল রাখা আবশ্যক।
যদিওবা এরূপ ধারনা করা ও চিন্তাভাবনা করা খুবই কঠিন তবে অসম্ভব নয়, শুরুতেই এই কাজ খুবই কঠিন অনুভূত হবে, কিন্তু যখন একাধারে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এতে ধৈর্যধারন করা হয় তখন আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে এবং তাঁর প্রদত্ত তৌফিকে এই কাজ সহজ হয়ে যায়, আমাদের কাজ চেষ্টা করা, সফলতা প্রদানকারী সত্তা হলো দয়ালূ আল্লাহ পাক। (নেকীর দাওয়াত, ৯৪ পৃষ্ঠা)
এক ব্যক্তি শয়তানকে এমন অবস্থায় দেখলো যে, সে তার আঙ্গুল উঁঠিয়ে যাচ্ছিলো। সে শয়তানকে জিজ্ঞেস করলো: তুমি তোমার আঙ্গুল উঁঠিয়ে কেন যাচ্ছো? শয়তান বললো: আমি আমার আঙ্গুল দ্বারা বড় বড় কাজ সম্পাদন করে থাকি, লোকেরা যে পরস্পর ঝগড়া বিবাদ করে এবং ফিতনা ফ্যাসাদ করে, তা এই আঙ্গুলের খেলা। সেই ব্যক্তি আশ্চার্য হয়ে বললো: এটা কিভাবে সম্ভব? শয়তান বললো: সামনে যেই শহর, তা আমার এই আঙ্গুল কিছুক্ষণের মধ্যেই ধ্বংস করে দেবে এবং লোকেরা নিজেরাই ঝগড়া বিবাদ শুরু করবে। শয়তান সেই ব্যক্তির সাথে শহরে প্রবেশ করলো, একটি বাজারে মিষ্টান্ন বিক্রেতা চিনি গুলে এর শিরা বানানোর জন্য তা একটি বড় পাত্রে গরম করছিলো। শয়তান শিরায় আঙ্গুল চুবিয়ে কিছুটা শিরা বের করে নিলো এবং তা দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়ে বললো: এবার দেখো এই শহর কিভাবে ধ্বংস হয়, সুতরাং দেওয়ালে লাগা শিরাতে মাছি এসে বসলো, মাছির আধিক্য দেখে একটি টিকিটিকি তা খাওয়ার জন্য সেই দেওয়ালে আসলো। মিষ্টান্ন বিক্রেতার একটি বিড়াল ছিলো, সেই বিড়ালটি টিকিটিকিকে দেখে তার উপর হামলা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলো, দু’জন সৈন্য সেই বাজার দিয়ে অতিক্রম করছিলো, যাদের সাথে তাদের একটি কুকুরও ছিলো, কুকুরটি বিড়ালকে দেখে সাথে সাথেই তার উপর আক্রমন করলো, বিড়ালটি পালানোর জন্য লাফ দিলে সোজা গিয়ে শিরার পাত্রের মধ্যে পরে মরে গেলো। মিষ্টান্ন বিক্রেতা তার বিড়ালকে মরতে দেখে কুকুরটিকে মেরে ফেলল, এই দৃশ্য দেখে সৈন্যরা মিষ্টান্ন বিক্রেতাকে হত্যা করে দিলো। মিষ্টান্ন বিক্রেতার আত্মীয়রা যখন