Book Name:Shetan Ki Insan Se Dushmani

জানতে পারলো তখন তারা সৈন্যদের মেরে ফেলল, যখন সৈন্য বাহিনী তাদের দুজন সৈন্যের মৃত্যুর সংবাদ শুনলো পুরো সৈন্য বাহিনী রাগান্বিত হয়ে এসে পুরো শহরকে তছনছ করে দিলো।

(শয়তান কি হিকায়াত, ১৫০ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          হে আশিকানে রাসূল! বর্ণনাকৃত ঘটনায় যে শিক্ষা আমাদের জন্য রয়েছে, তা হলো, আমরা নিজেরাও ঝগড়া থেকে বিরত থাকবো এবং অন্যকেও এই শয়তানি কাজ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করবো, কেননা অনেক সময় শুধু ভুল বুঝাবুঝির কারণে অনেক ঝগড়া হয়ে থাকে, অনেক পরিবার বরং বংশ উজাড় হয়ে যায়, তাই যদি কেউ আমাদের ঝগড়া করাতে চায় তবে আমাদের উচিৎ যে, আমরা তাদের অসৎ ইচ্ছা সফল হতে না দেওয়া।

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! শয়তানের মানুষের সাথে শত্রুতার ধরন এই বিষয়টি দ্বারাও অনুমান করা যেতে পারে যে, সে মানুষকে দুনিয়ায় তো বিভিন্ন ধরনে হাতিয়ার এবং কুমন্ত্রণার মাধ্যমে পথভ্রষ্ট করেই থাকে, কিন্তু মৃত্যুর সময়ও মানুষকে পথভ্রষ্ট করা, এবং ঈমানের দৌলতকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকেও নিজের সাথে সর্বদার জন্য দোযখে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লেগে থাকে। শয়তানের নিজের তো তাওবা করার তৌফিক নাই তাই সে চায় না যে, অন্য কেউ যেন তাওবা করে জান্নাতে চলে না যায়। সেই কারণেই সে দুনিয়ায় তাওবা থেকে বাঁধা প্রদান করে, মৃত্যুর সময় ঈমান ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টায় থাকে, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করতে থাকে যে, যেকোনোভাবে যেন সে মুসলমান নিজের ঈমান হারিয়ে দোযখের অধিকারী হয়ে যায়, শয়তান মানুষের অন্তরে যে কুমন্ত্রণা প্রদান করতে থাকে, সেই কুমন্ত্রণা অনেক সময় এতই ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে যে, মানুষের জন্য নিজের দ্বীন ও ঈমান বাঁচানো কঠিন হয়ে যায়, যেমন; কখনো তাকদীরের ব্যাপারে কুমন্ত্রণা, কখনো ঈমানের বিষয়ে কুমন্ত্রণা, কখনো ইবাদতের ব্যাপারে কুমন্ত্রণা, কখনো পবিত্রতার ব্যাপারে কুমন্ত্রণা এবং কখনো এই অভিশপ্ত শয়তান আল্লাহ পাকের ব্যাপারে কুমন্ত্রণা প্রদান করতে থাকে। আসুন! এব্যাপারে একটি ঘটনা শ্রবণ করি।

 

ইমাম রাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এবং শয়তান

          যখন ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ওফাতের সময় নিকটবর্তী হলো তখন শয়তানও তার শিওরে এসে উপস্থিত হলো। সে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো: তুমি আজীবন মুনাযারায় অতিবাহিত করেছো, খোদার পরিচয়ও কি লাভ করেছো? তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: অবশ্যই আল্লাহ এক। সে বললো: এর দলীল কি? তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একটি দলীল উপস্থাপন করলেন, সেই অভিশপ্ত যেহেতু ফিরিশতাদের ওস্তাদ ছিলো, তাই সে সেই দলীল খন্ডন করে দিলো। তিনি আরেকটি দলীল দিলেন, সে তাও খন্ডন করলো। এমনকি তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ৩৬০টি দলীল উপস্থাপন করলেন আর সে সবই খন্ডন করে দিলো। এবার তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ চিন্তিত এবং খুবই হতাশ হয়ে গেলেন, তাঁর পীর ও মুর্শিদ হযরত নজমুদ্দীন কুবরা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দূরে কোথাও উচু স্থানে অযু করছিলেন, সেখান থেকেই তাঁকে আওয়াজ দিলেন: বলছো না কেন যে, আমি আল্লাহকে কোন দলীল ছাড়াই এক মেনে নিয়েছি। (আদাবে মুর্শিদে কামিল, ৮৮ পৃষ্ঠা)