Book Name:Shetan Ki Insan Se Dushmani

মন্দ মৃত্যু থেকে বাঁচার পদ্ধতি

          হে আশিকানে আউলিয়া! জানা গেলো! ঈমানের নিরাপত্তা এবং উত্তম পরিণতির একটি উপায় হলো কোন কামিল পীরের মুরীদ হয়ে যাওয়া। اَلْحَمْدُ لِلّٰه পীর ও মুর্শিদের বাতেনী দৃষ্টিতেও শয়তানের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নসীব হয়। এমনকি ঈমানের উপর শেষ মৃত্যুও নসীব হয়ে যায়, অন্যথায় শয়তান মৃত্যুর সময় কুমন্ত্রণার মাধ্যমে মুমিনের ঈমানকে নষ্ট করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে।

 

১২টি মাদানী কাজের মধ্যে একটি মাদানী কাজ “কাফেলা”

          হে আশিকানে রাসূল! শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে, ঈমানের নিরাপত্তা পেতে, নেকীর প্রতি অবিচলতা পেতে, সুন্নাতের অনুসারী হতে এবং গুনাহের প্রতি সত্যিকারভাবে ঘৃণা করতে এবং ঈমানের নিরাপত্তার প্রেরণা নিজের মাঝে সৃষ্টি করতে নেককার লোকের সাহচর্য অবলম্বন করুন, কেননা নেককার লোকের সাহচর্যে বসাতে গুনাহের প্রতি ঘৃণা এবং নেকীর করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে আশিকানের রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশ কোন নেয়ামতের চেয়ে কম  নয়, সুতরাং যদি আমরা নেককার হয়ে ঈমানের নিরাপত্তা রক্ষাকারী হতে চাই তবে আজই দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশে সম্পৃক্ত হয়ে আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর দয়াময় আঁচলে সম্পৃক্ত হয়ে যান এবং সুন্নাতের সাড়া জাগানোর জন্য ১২টি দ্বীনি কাজে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহন করুন। 

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! ১২টি দ্বীনি কাজের মধ্যে একটি দ্বীনি কাজ হচ্ছে “মাদানী কাফেলা”। اَلْحَمْدُ لِلّٰه মাদানী কাফেলার বরকতে অসংখ্য লোকের জীবনে মাদানী পরিবর্তন সাধিত হয়। * মাদানী কাফেলায় সফর করাতে নেককার লোকদের সাহচর্য অর্জিত হয়। * মসজিদে নফল ইতিকাফ করার সৌভাগ্য অর্জিত হয়। বেনামাযীরা নামাযের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে। * অসংখ্য দ্বীনি মাসআলা শিখার সৌভাগ্য অর্জিত হয়। * মসজিদে যিকির, দরস ও বয়ানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। * মসজিদ পরিপূর্ণ থাকে। * মাদানী কাফেলায় সফরকারী আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہর দোয়া লাভ করে।

 

          হে আশিকানে রাসূল! আল্লাহ পাককে সন্তুষ্ট করতে, ইলমে দ্বীন অর্জন করতে এবং সাওয়াব অর্জনের জন্য মাদানী কাফেলায় সফর করুন, যাতে সাওয়াবও অর্জিত হয়। কাফেলায় সফর করাতে কখনো দুনিয়াবী উপকারীতাও অর্জিত হয়।

 

শয়তান কেন অভিশপ্ত হলো?

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! অভিশপ্ত শয়তান সম্পর্কে কিছু শ্রবণ করি, সে কে ছিলো এবং তার এই আপদ কিভাবে এলো যে, আল্লাহ পাক তাকে অনন্তকালের জন্য নিজের পবিত্র দরবার থেকে কেন অভিশপ্ত বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন।

          মনে রাখবেন! সে দুর্ভাগা ও অভিশপ্ত ঘোষিত হওয়ার পূর্বে শয়তান অনেক বেশি ইবাদত পরায়ণ, ফেরেশতাদের সর্দার ছিলো, তার ফেরেশতাদের মাঝে একটি বিশেষ মর্যাদা ছিলো, হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: ফেরেশতাদের নূর দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে আর ইবলিশকে