Dil Ki Sakhti

Book Name:Dil Ki Sakhti

আল্লাহ পাক আমাদের এই আপদ (অর্থাৎ অন্তরের কঠোরতা) থেকে মুক্তি দান করুক এবং আমাদের ইবাদত ও তিলাওয়াতে বিনয় ও নম্রতা এবং একাগ্রতা ও অটলতার দৌলত দান করুক

اٰمین بِجاہِ خاتَمِْالنَّبِیّٖن صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

() উপদেশ প্রভাব বিস্তার না করা!

একইভাবে অন্তরের কঠোরতার একটি আলামত এটাও যে, যখন বান্দা ওয়াজ ও নসিহত এবং আখিরাতের স্মরণমূলক আলোচনা বা হঠাৎ মৃত্যুর ঘটনা পড়ে বা শোনে তো তার মনে পরকালের চিন্তা বা নেক কাজের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি না হওয়া।

() আখিরাতের উপর দুনিয়াকে প্রাধান্য দেয়া!

অন্তরের কঠোরতার একটি আলামত এটাও যে, বান্দা চিরস্থায়ী আখিরাতের উপর এই দুনিয়ার অস্থায়ী জীবনকে প্রাধান্য দেয়া শুরু করে এবং দুনিয়াকে নিজের সবকিছু ভেবে তাকে পেতে অস্তির হয়ে যায়, এর প্রতিফল এরূপ যে, সেই ব্যক্তি দুনিয়ার ভালবাসায় অন্ধ হয়ে, গুনাহের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায় তার দুনিয়া ও আখিরাতের ধ্বংস ছাড়া আর কিছু অর্জন হয় না।

() ঈমান দুর্বল হয়ে যাওয়া!

অন্তরের কঠোরতার একটি আলামত এটাও যে, যখন বান্দার সামনে আল্লাহ পাকের সীমালংঘন করা হয় এবং নির্লজ্জ ও বেহায়াপনার মাধ্যমে গুনাহের বন্যা বয়ে দেয়, তখনও তার ঈমানী চেতনা জাগ্রত হয় না এবং সে এই মন্দ কাজকে প্রতিরোধ করে না বা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা না থাকাবস্থায় অন্তরে খারাপও জানে না তবে বুঝে নিতে হবে যে, তার অন্তর পাষাণ হয়ে গেছে।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই আলামত এবং নিদর্শন সমূহ থেকে সম্পূর্ণরূপে ধারনা করা যায় যে, অন্তরের কঠোরতা কিরূপ বিপদজনক রোগ, অন্তরের কঠোরতা এমন একটি রোগ, যা বান্দাকে আল্লাহ পাকের পথ থেকে সরিয়ে নফস ও শয়তানের অনুসারী বানিয়ে দেয়। অন্তরের কঠোরতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটি পদ্ধতি হলো, বান্দা যেন সেই কারণসমূহ সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে, যা অন্তরকে কঠিন করে দেয় এবং তা নির্মূল করার চেষ্টাও করে। আসুন! এ থেকে কয়েকটি কারণ শ্রবণ করি।

দুনিয়ার ভালবাসা:

() অন্তরের কঠোরতার একটি কারণ, দুনিয়ার ভালোবাসা, কেননা যখন দুনিয়ার ভালোবাসা মানুষের অন্তরে ছেয়ে যায়, তখন অন্তর সেই দিকে মনোযোগি হতে থাকে অতঃপর যিকরুল্লাহ এবং ইবাদতে মন বসে না আর মানুষ দুনিয়ার খেল-তামাশায় এবং এর নশ্বর ঝাঁকজমকের মাঝে শান্তি খুঁজে বেড়ানোর চেষ্টা করে। প্রথমতো অযথা ও গুনাহের কাজের মধ্যে দুনিয়া ধ্বংস করে অতঃপর আখিরাতেও অপমান ও অপদস্ততা তার পরিণতি হতে পারে।