Book Name:Qiyamat Ki Alamaat
(পারা ২৭, সূরা কমর, আয়াত ১) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: নিকটে এসেছে ক্বিয়ামত এবং দ্বি-খন্ডিত হয়েছে চাঁদ।
তাফসীরে সীরাতুল জিনানে এই আয়াতে করীমার আলোকে রয়েছে: কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার নিদর্শন প্রকাশ হয়ে গেছে যে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মুজিযায় চাঁদ দুই টুকরো হয়ে ফেঁটে গেলো। চাঁদের দুই টুকরো হওয়া, যা এই আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, তা নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উজ্জল মুজিযার অন্তর্ভূক্ত।
(তাফসীরে খাযিন, সূরা কমর, ১ম আয়াতের পাদটিকা, ৪/২১৬)
জানতে পারলাম! চাঁদ ফেঁটে যাওয়া এটা কিয়ামতের নিদর্শন ছিলো, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মুজিযা স্বরূপ চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দিয়েছিলেন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
(২) বাঁদী তার মালিককে জন্ম দিবে
আমরা কিয়ামতের একটি নিদর্শন এটাও শুনেছি যে, বাঁদী মালিককে জন্ম দিবে। ওলামায়ে কিরাম প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর এই বাণীর বিভিন্ন ব্যাখ্যা বর্ণনা করেছেন। আমাদের সমাজের পরিবেশ অনুযায়ী যে ব্যাখ্যা রয়েছে, তা হলো, লোকেরা নিজের আসল মায়ের সাথে বাঁদীর (চাকরানী/ খাদেমা) ন্যায় ব্যবহার করবে, মাকে বাঁদীর মতো রাখবে, মায়ের অবাধ্যতা ও হক ক্ষুন্ন করবে, মাকে কষ্ট দিবে এবং অবস্থা এমন হবে যে, সন্তান নিজের মায়ের সাথে মুনিবের মতো আচরন করবে।
(মাকালাতে শারেহ বুখারী, ১ম অধ্যায়, ১/১৫৬)
হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই মহান বাণীর উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: (বাঁদী মালিককে জন্ম দিবে) অর্থাৎ সন্তান অবাধ্য হবে, ছেলে মায়ের সাথে এমন আচরন করবে যেনো কোন বাঁদীর সাথে করে, এখন উদ্দেশ্য এটাই হলো যে, যেনো মা তার মালিককে জন্ম দিয়েছে। (মিরাতুল মানাজিহ, ১/৬২)
বর্তমানে যদি আমরা আমাদের আশেপাশে দৃষ্টি দিই, তবে এই বাস্তবতা দেখা যাবে যে, আমাদের সমাজে একটি অংশ রয়েছে, যারা পিতামাতা বিশেষকরে মায়ের সাথে খুবই খারাপ আচরন করে থাকে। বর্তমানে কিছু মানুষ রয়েছে যে, মায়ের সাথে বাঘের মতো তীক্ষ্ণ চোখে তাকায়। মায়ের মুখে মুখে কথা বলতে দেখা যায়। অনেক মূর্খ তো আল্লাহর পানাহ! মাকে গালি দেয় এবং মারেও, যা প্রতিদিন খবরের কাগজে আসে, অথচ মা এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি থাকলে ঘরে বসন্ত এসে যায় এবং যিনি না থাকলে সমস্ত কিছু থাকার পরও ঘর খালি খালি মনে হয়। সুতরাং মায়ের খেদমত করুন! মাকে সন্তুষ্ট করুন! মাকে কষ্ট দিবেন না! মাকে কখনো দুঃখ দিবেন না! মায়ের সাথে কখনো ঝগড়া করবেন না! মায়ের সাথে কখনো উচ্চ আওয়াজে কথা বলবেন না! মাকে সম্মান করুন! যদি মা বা বাবা তাদের মধ্যে কোন একজন অসন্তুষ্ট হয়ে যায়