Book Name:Faizan e Rabi ul Awwal
(১) চাঁদ রাতে এভাবে মসজিদে তিনবার ঘোষণা করুন: সকল আশিকানে রাসূলকে মোবারকবাদ, রবিউল আউয়াল শরীফের চাঁদ দেখা গিয়েছে।
(২) নিগরান ও যিম্মাদারগণসহ সকল আশিকানে রাসূল রবিউল আউয়াল শরীফে বিশেষভাবে কমপক্ষে ৩ দিনের মাদানী কাফেলায় সফর করার সৌভাগ্য অর্জন করুন আর ইসলামী বোনেরা একমাস পর্যন্ত নিজ ঘরে (শুধুমাত্র পরিবারের ইসলামী বোন এবং মাহরামদের মাঝে) মাদানী দরস চালু করুন এবং আগামীতেও নিয়মিত চালু রাখার নিয়্যত করে নিন।
(৩) যদি পতাকায় নালাইন শরীফের নক্শা বা অন্য কোন লেখা থাকে, তবে এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন যে, তা যেন টুকরা টুকরা হয়ে না যায়, মাটিতেও যেনো পড়ে না যায়, তাছাড়া যখনই রবিউল আউয়াল শরীফ চলে যাবে, সাথে সাথে পতাকাগুলি খুলে নিন। যদি সতর্কতা অবলম্বন করতে না পারেন আর অসম্মানি হয়ে যায়, তবে নকশা বিহীন পতাকা উড়ান। (সাগে মদীনা عُفِیَ عَنۡہُও যথাসম্ভব নিজ ঘরে নকশা বিহীন মাদানী পতাকা লাগায়।)
(৪) মাকতাবাতুল মদীনার লিখিত পামপ্লেট “জশনে বিলাদতের ১২টি পয়েন্ট” সম্ভব হলে ১১২টি অন্যথায় কমপক্ষে ১২টি তাছাড়া সম্ভব হলে তবে বসন্তের প্রভাত পুস্তিকা ১২টি মাকতাবাতুল মদীনা থেকে ক্রয় করে বন্টন করুন। বিশেষ করে ঐ সকল সংগঠনের নেতাদের নিকট পৌঁছান যারা জশনে বিলাদতের সাড়া জাগিয়ে থাকে।
(৫) ১২ তারিখ রাতে ইজতিমায়ে মিলাদে অতিবাহিত করে সুবহে সাদিকের সময় হাতে মাদানী পতাকা নিয়ে, দরূদ ও সালামের স্লোগান তুলে, অশ্রুসিক্ত নয়নে বসন্তের প্রভাতকে অভ্যর্থনা জানান। ফজরের নামাযের পর সালাম ও ঈদ মোবারক বলে একে অপরের সাথে খুশি মনে সাক্ষাত করুন আর সারাদিন ঈদের মোবারকবাদ পেশ করে ঈদ উদযাপন করুন।
(৬) প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রতি সোমবার শরীফ রোযা রেখে নিজের জন্ম দিন পালন করতেন। আপনিও প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর স্মরণে ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফে রোযা রেখে মাদানী পতাকা উড়িয়ে মিলাদুন্নবীর জুলুসে যোগ দিন। যথাসম্ভব অযু অবস্থায় থাকুন। নাত পাঠ করতে করতে, দরূদ সালামের ফুল ছড়িয়ে, দৃষ্টিকে নত রেখে পূর্ণ গাম্ভীর্য বজায় রেখে পথ চলুন। লাফালাফি করে কাউকে সমালোচনা করার সুযোগ দিবেন না।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
নামাযের জামাআত পাওয়ার ৭টি পয়েন্ট
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর লিখিত মাদানী মুযাকারা “৪৩ পর্ব: শেষ সংক্ষিপ্ত সময়ে নামাযের পদ্ধতি” এর ১১ নং পৃষ্ঠা থেকে “নামাযের জামাআত পাওয়া” সম্পর্কিত ৭টি পয়েন্ট শুনুন: (১) যদি দীর্ঘ ঘুমের ভয় থাকে, তবে বিছানা বিছাবেন না, বালিশ রাখবেন না, কেননা বিনা বিছানা ও বিনা বালিশে ঘুমানোও সুন্নাত। (২) ঘুমানোর সময় মনকে জামাআতের ব্যাপারে প্রচুর মানসিকতা দিন, কেননা চিন্তার ঘুম উদাসিন করে না। (৩) খাবার যথাসম্ভব খুব তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন, কেননা ঘুমানোর সময় পর্যন্ত খাবারের কারণে সৃষ্টি হওয়া বোঝার প্রভাব শেষ হয়ে যাবে আর তা দীর্ঘ ঘুমের কারণ হবে না। (৪) সবচেয়ে উত্তম প্রতিকার হলো, কম খাওয়া। পেট ভরে খেয়ে রাতের নামাযের আগ্রহ প্রকাশ করা