Book Name:Faizan e Rabi ul Awwal
করুন এবং রবিউল আউয়াল শরীফের প্রথম ১২দিনে হওয়া মাদানী মুযাকারা দেখার চেষ্টা করুন।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিঃসন্দেহে আমাদের নিশ্বাসের কোন ভরসা নেই, জানি না কখন এই নিশ্বাস এবং এর সাথে আমাদের আমলের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের নেকী করার কোন সুযোগ হাতছাড়া করা উচিৎ নয়। আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে জীবনে আরো একবার রবিউল আউয়ালের মুবারক মাস আমাদের দেখা নসীব হয়েছে, সুতরাং এর এক একটি দিনের কদর করে অধিকহারে নেক আমল করুন। আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি অর্জন করতে আল্লাহর রহমতের অধিকারী হতে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে সাওয়াব পেশ করার নিয়্যতে এই মাসের প্রথম তারিখ থেকে বারো তারিখ পর্যন্ত নফল রোযা রাখুন। বিশেষ করে বারো তারিখে তো রোযা রাখার পরিপূর্ণ চেষ্টা করুন, কেননা প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রতি সোমবার শরীফ রোযা রেখে নিজের জন্ম দিবস উদযাপন করতেন।
হযরত আবু কাতাদাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বলেন: নবীয়ে করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে সোমবার রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে ইরশাদ করেন: এই দিন আমার জন্ম হয় এবং এই দিনই আমার উপর ওহী অবতীর্ণ হয়। (মুসলিম, কিতাবুস সিয়াম, ৪৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস ২৭৫০)
হে আশিকানে রাসূল! নিঃসন্দেহে একজন সত্যিকার আশিকে রাসূলের পরিচয় হলো, সে দুনিয়ার ভালোবাসা থেকে পিছু ছাড়িয়ে নিজের জীবনের প্রতিটি ব্যাপারে রাসূলের আনুগত্যকে নিত্য সঙ্গী বানিয়ে নেয়। এর একটি উদাহরণ হলো আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর মুবারক সত্তা। তিনি دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ বারভী শরীফ এবং বিশেষকরে প্রতি সোমবার শরীফে রোযা রাখেন এবং নিজের মুরীদদের ও ভালোবাসা পোষণকারীদেরও সোমবার শরীফের রোযা রাখার উৎসাহ প্রদান করে থাকেন। সুতরাং আমাদের উচিৎ যে, মুস্তফার স্মরণে শুধু নিজে নয় বরং নিজের পরিবার, বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়দেরও বারভী শরীফের রোযা রাখার দাওয়াত দিয়ে আল্লাহ পাকের এই মহান নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা এবং প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দরবারে সাওয়াব উপস্থাপন করে দুনিয়া ও আখিরাতের বরকতের অধিকারী হওয়া।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের শেষ নবী, নবীয়ে মুকাররম, মুহাম্মদের মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ভালোবাসা আমাদের ঈমানের ভিত্তি এবং একটি নিদর্শন হলো, মাহবুবের স্মরণ অধিকহারে করা। বর্ণিত ভালোবাসার আছে: “مَنْ اَحَبَّ شَیْئًا اَکْثَرَ مِنْ ذِکْرِہٖ” অর্থাৎ যে ব্যক্তি কাউকে ভালোবাসে, তাকে অধিকহারে স্মরণ করে।
(জামে’ সগীর, ৫০৭ পৃষ্ঠা, হাদীস ৮৩১২)