Faizan e Rabi ul Awwal

Book Name:Faizan e Rabi ul Awwal

(লিসানুল আরব, /১৪৩৫)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিঃসন্দেহে রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم দুনিয়ায় তাশরীফ না আনলে কোন ঈদ, ঈদ হতো না, কোন রাত শবে বরাত অর্থাৎ মুক্তির রাত হতো নাবরং বিশ্বজগতের সকল আলো এবং শান প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কদমের ধুলির সদকাএই মুবারক মাসের বার (১২) তারিখ অতি সৌভাগ্য মহত্বপূর্ণ, কেননা ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সৌভাগ্য মন্ডিত বিলাদত হয়েছে(লাতায়িফুল মাআরিফ, ১০৪ পৃষ্ঠামাওয়াহিবুল লাদুনিয়া, /৭৫)

          এই কারণেই এই দিনে আশিকানে রাসূল তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মিলাদ মাহফিল সাজিয়ে থাকে এবং আল্লাহ পাকের রহমতের অংশীদার হয়আসুন! এই সম্পর্কে একটি ঘটনা শুনি

 

ফেরেশতাদের নূর

          হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দীস দেহলভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি একবার সেই মিলাদের মাহফিলে উপস্থিত ছিলাম, যা মক্কা শরীফে রবিউল আউয়ালের বারো তারিখ মাওলিদুন্নবী (অর্থাৎ প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বিলাদতের স্থানে) হয়েছিলোযখন বিলাদতের আলোচনা করা হচ্ছিলো তখন আমি দেখলাম যে, হঠাৎ সেই মাহফিল থেকে কিছু নূর উপরের দিকে উঠে যাচ্ছিলো, আমি সেই নূরের দিকে ভালভাবে লক্ষ্য করলাম যে, তা আল্লাহর রহমত ফেরেশতাদের নূর ছিলো, যারা এরূপ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে থাকে(সীরাতে মুস্তফা, ৭২, ৭৩ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন যে, জশনে ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিলে আল্লাহ পাকের রহমত বর্ষিত হয়, আল্লাহর নূর মুষলধারে বর্ষিত হয়, রহমতের ফেরেশতারা মিলাদ শরীফের মাহফিলে অংশ গ্রহণ করে থাকে এবং মিলাদ উদযাপনকারীদের নিজেদের নূরানী ডানা দ্বারা ঢেকে নেয়মিলাদ শরীফ উদযাপনকারীদের প্রতি আল্লাহ পাক খুশি হন এবং তাদের প্রতি তাঁরপুরস্কার উপহারের বর্ষণও করে থাকেননিঃসন্দেহে মিলাদ শরীফ উদযাপন করা, মিলাদের মাসে নিজের ঘর, মহল্লা বরং নিজের গাড়িকে মাদানী পতাকা, রঙিন লাইট দ্বারা সাজানো, রবিউল আউয়ালের চাঁদ দেখতেই নেক আমল এবং দরূদ শরীফে আধিক্য করা, মিলাদ শরীফের মাহফিল করা এবং এতে অংশ গ্রহণ করা প্রতিদান সাওয়াবের উপায় এবং মাগফিরাত অর্জনের মাধ্যম

 

          আমাদের উচিৎ যে, যখনই সুন্নাতে ভরা ইজতিমায় উপস্থিতি বা মাদানী মুযাকারা দেখা বা শুনার সৌভাগ্য হয় তখন আদবের সাথে মনযোগ সহকারে শুনার অভ্যাস গড়া

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাক ২৬তম পারা সূরা ফাতাহ এর ৯নং আয়াতে ইরশাদ করেন:

وَ تُعَزِّرُوْہُ وَ تُوَقِّرُوْہُ ؕ