Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
রাসূলের সাহাবী হযরত আবু উমামাহ বাহিলী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি সর্বশেষ জান্নাতে প্রবেশ করবে, সে ব্যক্তি পুলসিরাতে উপুড় হয়ে বুকের উপর ভর দিয়ে চলতে থাকবে, পিতা তার সন্তানকে মারলে তারপর সন্তান ছাড়া পেলে যেমন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, ঐ ব্যক্তির অবস্থাও তেমন হবে। কারণ তার আমলসমূহ এমন উপযুক্ত নয় যে তাকে পুলসিরাত পার করাবে।
ঐ গুনাহগার জাহান্নামের পশ্চাতে স্থাপিত, অন্ধকারে নিমজ্জিত, তরবারির চেয়ে ধারলো এবং চুলের চেয়ে চিকন পুলসিরাতের উপর বুকের উপর ভর দিয়ে চলতে চলতে আপন রবকে আহবান করবে: یَا رَبِّ! بَلِّغْ بِیَ الْجَنَّۃَ وَ نَجِّنِی مِنَ النَّارِ অর্থাৎ হে আমার রব! আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও, হে আমার রহমান ও রহীম, আল্লাহ পাক! আমাকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দান করো। আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: হে বান্দা! আমি যদি তোমাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিই এবং জান্নাত দান করি তুমি তোমার গুনাহ ও ভুল স্বীকার করবে? বান্দা বলবে: হ্যাঁ, হে আমার রব! তোমার সম্মান ও মহত্বের শপথ! যদি আমি জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাই অবশ্যই নিজের গুনাহ স্বীকার করে নেবো। তখন বান্দা চিন্তা করবে- যদি আমার গুনাহ স্বীকার করে নিই তাহলে আমাকে আবার জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে না তো। (এ কথা চিন্তা করামাত্র) আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: হে বান্দা! তোমার গুনাহ স্বীকার করে নাও, আমি তোমাকে মাফ করে দেবো, তোমাকে জান্নাত দান করবো।
বান্দা বলবে: না, মাওলা! তোমার সম্মান ও মহত্বের শপথ! আমি তো কখনো কোনো গুনাহ করি নি, কোনো ভুলও করি নি । আল্লাহ পাক ইরশাদ করবেন: হে বান্দা! তোমার বিরুদ্ধে আমার কাছে সাক্ষী আছে। বান্দা ঘাবড়ে এদিক সেদিক তাকাবে, কিন্তু কাউকে দেখতে পাবে না, আরজ করবে- হে আল্লাহ পাক! সাক্ষী কোথায়? তখন আল্লাহ পাকের নির্দেশে তার চামড়া কথা বলবে আর তার সমস্ত সগীরা গুনাহের বর্ণনা দেবে। যখন সে বুঝতে পারবে যে ছাড়া পাওয়ার কোনো উপায় নেই, তখন নিজের গুনাহসমূহ স্বীকার করে আরজ করবে: মাওলা! তোমার সম্মান ও মহত্বের শপথ! আমি কবীরা গুনাহও করেছি। আল্লাহ পাক ইরশাদ করবে: আমি জানি। তুমি সব গুনাহ স্বীকার করো, আমি তোমাকে মাফ করে দেবো, তোমাকে জান্নাতও দান করবো। তারপর বান্দা তার সমস্ত গুনাহ স্বীকার করে নেবে, তখন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: এ হচ্ছে সবচেয়ে নিম্নস্তরের জান্নাতী।
(মুজামুল কবীর, ৪ খণ্ড, ২৮৭ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৭৫৬৭)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! ঐ গুনাহগারকে আল্লাহ পাক মাফ করে দেবেন, গুনাহ থাকা সত্ত্বেও জান্নাত প্রবেশ করাবেন। নিঃসন্দেহে তা মহান আল্লাহর রহমত। কিন্তু চিন্তা করে দেখুন! ঘটনা কত কঠিন। আহ! কিয়ামতের দিন কোনো টাল-বাহানা চলবে না। আজ মুখ ব্যবহার করে অন্যের চোখে ধুলো দেওয়া যায়, উল্টোপাল্টা ছলচাতুরি করে ধোঁকা দেওয়া যায়, নিজেকেও মিথ্যা