Book Name:Qayamat Ke Din Ke Gawah
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই দিন ও রাতও কিয়ামতের দিন আমাদের সাক্ষী হবে। আমরা দিনের আলোতে যা করেছি কিংবা রাতের অন্ধকারে যা করেছি সে সব প্রকাশ করে দেবে। যেমন হাদীসে পাকে রয়েছে; আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: প্রত্যেক দিনের যখন আগমন হয় তখন তা ঘোষণা করে: হে আদম সন্তান! আমি তোমাদের কাছে নতুন সৃষ্টি। আজ তুমি আমার মাঝে যা আমল করবে কাল কিয়ামতের দিন আমি তার সাক্ষ্য দেবো। তুমি আমার মাঝে নেকী করো, যাতে আমি তোমার নেকীর সাক্ষ্য দিতে পারি। আমি চলে যাওয়ার পর তুমি আমাকে আর কখনো দেখতে পাবে না। নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পুনরায় ইরশাদ করেন: যখন রাত আসে তখন সেও এভাবে ঘোষণা করে। (হুলিয়াতুল আউলিয়া, খণ্ড -২, পৃষ্ঠা- ৩৪৪, সংখ্যা- ২৫০১)
কিয়ামতের দিন চতুর্থ সাক্ষ্য হবে আমলের লেখক ফেরেশতা কিরামান কাতিবীন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ اِنَّ عَلَیْکُمْ لَحٰفِظِیْنَ (ۙ۱۰) کِرَامًا کَاتِبِیْنَ (ۙ۱۱) یَعْلَمُوْنَ مَا تَفْعَلُوْنَ (۱۲)
(পারা ৩০, সূরা ইনফিতার, আয়াত ১০-১২) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর নিশ্চয়ই তোমাদের উপর কিছু সংখ্যক রক্ষনাবেক্ষণকারী রয়েছে, সম্মানিত লিখকগণ। তারা জানে যা কিছু তোমরা করো।
আমাদের আখেরী নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মানুষ জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে উদাসীন। যখন আল্লাহ পাক কোনো মানুষকে সৃষ্টি করার ইচ্ছা করে তখন ফেরেশতাকে নির্দেশ দেন; এর রিযিক ও মৃত্যুর সময় লিখে দাও! ফেরেশতা লিখে চলে যায়। তারপর অন্য একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেওয়া হয়, যে তার ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। তারপর মানুষ যখন ভূমিষ্ঠ হয় তখন দুইটি ফেরেশতা তার সাথে নিযুক্ত করে দেওয়া হয় যারা মৃত্যু পর্যন্ত তার নেকী ও গুনাহ লিখতে থাকে। তারপর যখন মানুষের মৃত্যুর সময় আসে তখন এই ফেরেশতারা আসমানের দিকে চলে যায়। আবার যখন কিয়ামত কায়েম হবে তখন সে ফেরেশতারা ঐ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে, তার আমলনামা তার গলায় ঝুলিয়ে দেবে। একজন ফেরেশতা তাকে হাশরের ময়দানে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে আর অন্য ফেরেশতা তার সাক্ষ্য দেবে।
(হিলয়াতুল আউলিয়া, খণ্ড- ৩, পৃষ্ঠা- ২২১, সংখ্যা- ৩৭৭৫)
কিয়ামতের দিন পঞ্চম সাক্ষ্য হবে আমাদের আমলনামা যা কিরামান কাতিবীন ধারাবাহিকভাবে লিখে এসেছে। সে আমলনামাতে আমাদের প্রত্যেক ছোট বড় আমল লিখিত থাকবে। রাসূলের সাহাবী হযরত আনাস বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত, নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: সমস্ত আমলনামা আরশের নিচে থাকবে। যখন কিয়ামতের দিন আসবে তখন আল্লাহ পাক একটি বাতাস পাঠাবেন যা আমলনামাগুলো উড়িয়ে নিয়ে কারো ডান হাতে আর কারো বাম হাতে পৌঁছে দেবে। আমল নামাতে সর্বপ্রথম লেখা থাকবে: