Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj
ব্যয়ে অনেকের পেট ভরে যাবে (২৬) আল্লাহ পাকের নিকট মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। (২৭) সদকা প্রদানকারী কিয়ামতের দিন দোযখ থেকে নিরাপদ থাকবে (২৮) সদকা প্রদানকারীর উপর দোযখের আগুন হারাম হবে। (২৯) সদকা প্রদানকারী আখিরাতে আল্লাহ পাকের দয়ার উপাকারীতা লাভ করবে। (৩০) আল্লাহ পাক চাইলে সদকা প্রদানকারী হুযুর পুরনুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্র নালাইনের সদকায় সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ২৩/১৫২)
سُبْحٰنَ الله! আপনারা শুনলেন যে, সদকা দেয়া কত মহান কাজ এবং এর বরকতে সদকা প্রদানকারীকে দুনিয়া ও আখিরাতে কিরূপ বরকত অর্জিত হয়ে থাকে, সুতরাং দ্রুত এই বরকত সমূহ অর্জন করার জন্য আপনারাও সদকা ও খয়রাত করাকে নিজের অভ্যাসে পরিনত করুন। সম্ভবত কারো মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, যদি আমরা সদকা ও খয়রাত করতে চাই তবে কোথায় দিবো? তাদের পথ নির্দেশনার জন্য আরয করছি যে, এদিক সেদিক যাওয়ার পরিবর্তে আপনার ওয়াজিব সদকা ও নফল সদকা আশিকানে রাসূলের মাদানী সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাতুল মদীনা ও জামেয়াতুল মদীনা দিন, কেননা আশিকানের রাসূলের মসজিদ ভরো কার্যক্রম “দাওয়াতে ইসলামী”র অধীনে প্রতিষ্ঠিত জামেয়াতুল মদীনা (বালক ও বালিকা), মাদরাসাতুল মদীনা (বালক ও বালিকা) এবং মাদানী চ্যানেলের বাৎসরিক ব্যায় কোটি টাকা নয় বিলিয়ন টাকা। জামেয়াতুল মদীনার মাধ্যমে এই পর্যন্ত হাজারো ওলামায়ে কিরাম তৈরী হয়েছে এবং নিজের খেদমত বিভিন্ন বিভাগে পেশ করে দ্বীন ইসলামের উন্নতিতে নিজের অংশ অর্ন্তভূক্ত করে যাচ্ছে।
আশিকানে রাসূলের দ্বীনি সংগঠন দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি কাজের জন্য যাকাত, সদকা, দান অনুদান দেয়ার পাশাপাশি নিজের আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী, বন্ধু বান্ধবের প্রতি একক প্রচেষ্টা করে তাদেরও আল্লাহ পাকের পথে ব্যয় করার ফযীলত জানিয়ে মাদানী ফান্ড জমা করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মেরাজের রাতে নবী করীম, রউফুর রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যেমনিভাবে জান্নাতে অনুগত বান্দাদের উপর প্রদত্ত আল্লাহ পাকের নেয়ামত সমূহ দেখেছেন, তেমনিভাবে অবাধ্যদের প্রতি বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রণাদায়ক আযাবও প্রত্যক্ষ করেছেন।
বেরকারীদের যন্ত্রণাদায়ক পরিনাম
প্রিয় আক্বা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এমন কিছু লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করেন, যাদের প্রতি কিছু লোক নিয়োজিত ছিলো, এরমধ্যে অনেকে সেই লোকদের চোয়াল খুলে রেখেছিলো এবং অনেকে তাদের মাংস কাটতো আর রক্তসহ তাদের মুখে পুরে দিতো। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জিজ্ঞাসা করলেন: হে জিব্রাঈল! এরা কারা? আরয করলেন: এরা মানুষের গীবত এবং তাদের দোষ-ত্রুটি খুঁজতো। (মুসনাদুল হারিস, কিতাবুল ঈমান, ১/১৭২, হাদীস নং-২৭)