Aaqa Ka Safar e Meraj

Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj

শানে সিদ্দিকে আকবর

          মেরাজের মুবারক রাতে যখন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জান্নাতে তাশরীফ নিয়ে গেলেন, তখন রেশমের ডানা সমৃদ্ধ একটি অট্টালিকা পর্যবেক্ষণ করলেন। প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হযরত জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام কে জিজ্ঞাসা করলেন: হে জিব্রাঈল! এটা কার জন্য? আরয করা হলো: হযরত আবু বকর সিদ্দিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর জন্য। (আর রিয়াযুন নযারা, ২/১১০)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

মকামে মুস্তাওয়া

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখন প্রিয় আক্বা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সিদরাতুল মুনতাহা থেকে সামনে অগ্রসর হন তখন হযরত জিব্রাঈল عَلَیْہِ السَّلَام সেখানেই রয়ে গেলেন এবং সামনে অগ্রসর হতে অপারগতা প্রকাশ করলেন। (আল মাওয়াহিবু লিদ দুনিয়া, ২/৩৮১) প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: আমি জিব্রাঈল আমিনকে (عَلَیْہِ السَّلَام) জিজ্ঞাসা করলাম: আপনি কি আপনার রব তায়ালাকে দেখেছেন? তিনি আরয করলেন: আমার এবং আমার রব তায়ালার মাঝখানে নূরের সত্তরটি (৭০) পর্দা রয়েছে, যদি আমি এর কোন একটির নিকটও যাই তবে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবো। (কানযুল উম্মাল, ৭ম অংশ, ১৪/১৯১, হাদীস নং-৩৯২০৪) অতঃপর হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم (একা সিদরাতুল মুনতাহা থেকে) সামনে অগ্রসর হলেন এবং উপর দিকে সফর করে একটি স্থানে তাশরীফ নিয়ে গেলেন, যাকে মুস্তাওয়া বলা হয়, এখানে হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কলম চলার শব্দ শুনতে পান। (বুখারী, কিতাবুস সালাত, ১৬১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৩৪৯) এটিই হলো সেই কলম, যা দ্বারা ফিরিশতারা প্রতিদিন আল্লাহ পাকের বিধানাবলী লিখে থাকে এবং লৌহে মাহফুয থেকে এক বছরের ঘটনাবলী আলাদা আলাদা পুস্তিকায় লিপিবদ্ধ করেন আর এই পুস্তিকা শাবানের পনেরতম (১৫তম) রাতে সংশ্লিষ্ট আদেশদাতা ফিরিশতাদের নিকট সমর্পন করে দেয়া হয়। (মিরাতুল মানাজিহ, ৮/১৫৫)

 

শাবানুল মুয়াজ্জমের প্রতি বিশেষ ভালবাসা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসলেই আমলনামা পরিবর্তন সম্পর্কে শাবানুল মুয়াজ্জম খুবই গুরুত্ব বহন করে এবং আগামী মাদানী মাস অর্থাৎ চন্দ্র মাস হচ্ছে “শাবানুল মুয়াজ্জম”, আমাদের উচিৎ যে, ফরয ও ওয়াজিব সমূহ আদায়ের পাশাপাশি শাবানুল মুয়াজ্জম মাসে নফল নামায এবং নফল রোযা বেশী বেশী করে রাখা, আমাদের প্রিয় আক্বা, মক্কী মাদানী মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এই মুবারক মাসকে নিজের দিকে সম্পর্কীত করে ইরশাদ করেন: شَعْبَانُ شَهْرِىْ وَرَمَضَانُ شَهْرُ الله অর্থাৎ শাবান আমার মাস এবং রমযান আল্লাহ পাকের মাস। (জামেয়ে সগীর, হরফুশ শীন, ৩০১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-৪৮৮৯)

 

          اَلْحَمْدُ لِلّٰه এই মুবারক মাসের রোযারও অনেক বেশি ফযীলত রয়েছে;