Aaqa Ka Safar e Meraj

Book Name:Aaqa Ka Safar e Meraj

স্থান, নিঃসন্দেহে কায়েনাতে (পুরো জগতে) এমন নামায এর পূর্বে কখনো হয়নি, আকাশ এমন দৃশ্য কখনো দেখেনি। যাই হোক আজ প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রথম ও শেষ হওয়ার রহস্যও (Secret) ফাঁস হয়ে গেলো, এই রহস্য থেকেও পর্দা উঠে গেলো এবং এর অর্থ আলোকিত দিনের ন্যায় প্রকাশ হয়ে গেলো, কেননা আজই হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যেহেতু সর্বশেষ রাসূল, পুর্বের সকল আম্বিয়া ও রাসূলদের عَلَیْہِمُ الصَّلٰوۃُ وَ السَّلَام ইমামত করছেন।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যখন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আসমন সমূহের সফর করে এবং আল্লাহ পাকের নিদর্শন সমূহ পরিদর্শন করে আসমান থেকে জমিনে তাশরীফ নিয়ে আসলেন, তখন বায়তুল মুকাদ্দাসে প্রবেশ করলেন এবং বুরাকে আরোহন করে মক্কায়ে মুকাররমার জন্য যাত্রা করলেন। পথিমধ্যে হুযুরে আনওয়ার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে মক্কা পর্যন্ত সকল বিশ্রামস্থল এবং কুরাইশের কাফেলাদেরও দেখলেন। এই সম্পূর্ন ধাপগুলো অতিক্রম করার পর হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم মসজিদে হারামে পৌঁছলেন, যেহেতু রাতের এখনো বড় অংশ অবশিষ্ট ছিলো, তাই হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم শুয়ে পড়লেন।

          নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সকালে জাগ্রত হলেন এবং রাতের ঘটনাবলী কুরাইশদের সামনে বর্ণনা করতে লাগলন, তখন কুরাইশের সর্দাররা খুবই আশ্চার্য হলো এমনকি কিছু দূর্ভাগা হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে مَعَاذَ الله মিথ্যুক বললো এবং অনেকে প্রশ্ন করা শুরু করলো। যেহেতু কুরাইশদের অধিকাংশ সর্দারগণ অনেকবার বায়তুল মুকাদ্দাস দেখেছে, তারা এটাও জানতো যে, রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কখনোই বায়তুল মুকাদ্দাস যাননি, তাই পরীক্ষামূলক নবীয়ে করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم থেকে বায়তুল মুকাদ্দাসের দরজা প্রাচীর ও মেহরাব ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করতে লাগলো। তখন আল্লাহ পাক সাথেসাথেই প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নবুয়তের দৃষ্টির সামনে বায়তুল মুকাদ্দাসের সম্পূর্ণ ভবনের নকশা উপস্থাপন করে দিলেন। সুতরাং সেই অমুসলিমরা প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে প্রশ্ন করতো আর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ভবনটি দেখে দেখে তাদের প্রশ্নের উত্তার সঠিক ভাবে দিয়ে দিতেন।

(সীরাতে মুস্তফা, ৭৩৫ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                     صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

          হে আশিকানে রাসূল! মেরাজের ঘটনার সত্যায়নেই ঈমানের পরীক্ষা, কেননা সংক্ষিপ্ত সময়েই জাগ্রত অবস্থায় শরীর মুবারক সহকারে আসমান ও আরশে আযীম পর্যন্ত বরং আরশ থেকেও উপরে লা-মকান পর্যন্ত তাশরীফ নিয়ে যাওয়া, জ্ঞানের বাইরে, এই কারণেই সেই লোকেরা যাদের অন্তর ঈমানের নূর দ্বারা পূর্ণ ছিলো না, তারা এই মহান ঘটনা শুধু প্রত্যাখ্যান করলো না বরং বিভিন্ন ভাবে তা নিয়ে ঠাট্টাও করেছে, কিন্তু যার অন্তরে পরিপূর্ণ ঈমানের প্রদীপ