Hum Q Nahi Badaltay

Book Name:Hum Q Nahi Badaltay

          হযরত ইমাম গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: দীর্ঘ আশা নেকী ও ইবাদতের পথে প্রতিবন্ধক স্বরূপ, প্রতিটি ফিতনা ও মন্দের কারণ, দীর্ঘ আশায় লিপ্ত হয়ে যাওয়া, একটি রোগ, যা মানুষকে আরো অনেক রোগে লিপ্ত করে দেয়। (মিনহাজুল আবেদীন, ১১৮ পৃষ্ঠা)

          হে আশিকানে রাসূল! দীর্ঘ আশা মানুষকে উদাসীন এবং অলস বানিয়ে দেয়, যার কারণে নেকী করার পূর্বেই মনে এই ধারনা জমে যায় যে, “কিছুক্ষণ পর করে নিবো, এখনো অনেক সময় আছে, ইবাদতের সময় শেষ হতে দিবো না।এভাবে অলসতা করে বান্দা নেকীর সুযোগ নষ্ট করে দেয়, দীর্ঘ আশা মানুষকে বদ আমলীর শিকার করে দেয়।

          হযরত দাউদ তাঈ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের আখিরাতে দেয়া শাস্তিকে ভয় করে, সে দূরকেও নিকটে মনে করে এবং যে ব্যক্তি দীর্ঘ আশায় লিপ্ত হয়ে যায়, সে বদ আমলীর শিকার হয়ে যায়। (মিনহাজুল আবেদীন, ৮১ পৃষ্ঠা) সুতরাং আমাদের উচিৎ, দীর্ঘ আশা থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘ আশার ক্ষতি এবং মৃত্যুকে স্মরণ করার ফযীলতের প্রতি দৃষ্টি রাখা, এর বরকতে আমরা আমাদের সংশোধন করতে সফল হয়ে যাবো।
اِنْ شَآءَ الله

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

দ্বিতীয় কারণ নিজেকে পর্যবেক্ষণ না করা

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের সংশোধনে প্রতিবন্ধক ও আমাদের পরিবর্তন না হওয়ার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, নিজেকে পর্যবেক্ষণ (অর্থাৎ নিজের আমলকে পর্যবেক্ষণ করার চিন্তা) না করা, কেননা আমরা আমাদের আমল পর্যবেক্ষণ করি না। মনে রাখবেন! নিজেকে পর্যবেক্ষণ না করা মানুষকে নিজের আখিরাত থেকে উদাসীন এবং নেক আমল থেকে দূর করে দেয়। যে মানুষ নিজেকে পর্যবেক্ষণ করে এবং নিজের আমলকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকে, সে নেকীর প্রতি আগ্রহী হয়ে যায় এবং গুনাহ থেকে সর্বদা বাঁচার চেষ্টা করে। মৃত্যুর ভাবনা সর্বদা তার চোখে থাকে এবং খোদাভীতি তার অন্তরে সমৃদ্ধ হয়ে যায়, এই কারণেই বুযুর্গানে দ্বীনরা رَحِمَہُمُ اللهُ الْمُبِيْن প্রতিদিন নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতেন, নিজের আমলকে পর্যবেক্ষণ করতেন এবং খোদাভীতিতে কাঁপতে থাকতেন।

নফসের পর্যবেক্ষণকারী সৌভাগ্যবান

          হযরত আবু বকর কাত্তানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এক ব্যক্তি ভূলত্রুটি ও গুনাহের জন্য নিজের নফসকে পর্যবেক্ষণ করতেন। একদিন সে তার জীবনের বৎসরগুলোর হিসাব করলো, হিসাব করে দেখলো যে, ষাট বৎসর হলো, তারপর দিনগুলো হিসাব করলো, দেখা গেলো একুশ হাজার পাঁচশ (২১,৫০০) দিন হলো। তখন সে একটি বিকট চিৎকার করে উঠে বেহুশ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলো, যখন হুশ ফিরে আসলো তখন বললো: আহ! আফসোস! আমি যদি দিনে একটিও গুনাহ করে থাকি, তবে তো আল্লাহ পাকের দরবারে একুশ হাজার পাঁচশটি গুনাহ নিয়ে উপস্থিত হতে হবে আর ঐ গুনাহ গুলোর কী অবস্থা হবে, যার হিসাবও নেই। আহ! আফসোস! আমি আমার দুনিয়াকে আবাদ এবং আখিরাতকে ধ্বংস করেছি আর আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করতে রয়েছি, দুনিয়ায় আমি তো আবাদ থেকে ধ্বংসের দিকে যাওয়া পছন্দ করতাম না। তবে কিয়ামতের দিন সাওয়াব ও আমল ছাড়া হিসাব নিকাশ কীভাবে দিবো? আর আযাবের সম্মুখীন