Hum Q Nahi Badaltay

Book Name:Hum Q Nahi Badaltay

লাভবান হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখে, তারও উচিৎ যে, নিজের কৃত আমল সম্পর্কে ভাবা, যে আমল তার লাভবান মনে হয়, তাতে আরো উন্নতি করা এবং যে কাজ লাভবান হওয়ার মাঝে প্রতিবন্ধক হচ্ছে, তা ছেড়ে দেয়া, যে ব্যক্তি এভাবে নিজের জবাবদিহীতা অব্যাহত রাখবে, সে আল্লাহ পাক তৌফিক দিলে সফল হবে এবং প্রতিদানে তার জান্নাতে প্রবেশাধিকার নসীব হবে। আমীরুল মুমিনিন হযরত ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُও দৈনিক নিজের পর্যবেক্ষণ করতেন।

 

হযরত ফারুকে আযমের নিজের নফসকে যাচাই

          আমীরুল মুমিনিন হযরত ওমর ফারুকে আযম رَضِیَ اللهُ عَنْہُ (নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে) রাতের বেলায় নিজের পায়ে চাবুক মেরে বলতেন: বলো! আজ তুমি কি আমলকরেছো? (ইহইয়াউল উলুম, ৫/৫৮)

নেক আমল নম্বর ৭ এর উৎসাহ

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশে নিজের আমলের হিসাব করাকে “আমলের পর্যবেক্ষণ করা” বলে। আমীরে আহলে সুন্নাত হযরত আল্লামা মাওলানা মুহাম্মদ ইলইয়াস আত্তার কাদেরী دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ আমাদের সত্যিকার ও আসল কল্যাণকামী। তিনি আমাদেরকে একটি খুবই সুন্দর পদ্ধতি “নেক আমল” দান করেছেন, এর উপর আমল করে আমরা আমাদের এবং সারা দুনিয়ার মানুষের সংশোধনের চেষ্টার মহান প্রেরণা পেতে পারি। শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর প্রদানকৃত “৭২টি নেক আমলের মধ্যে একটি, নেক আমল নাম্বার ৭ হলো যে, আপনি আজ শাজারা হতে কিছু না কিছু অযীফা পড়েছেন? এটি খুবই সুন্দর একটি আমল, আমাদের প্রতিদিন কোন না কোন একটি অযীফা অবশ্যই পড়া উচিত এবং যার পক্ষে সম্ভব হয় তবে সে একের অধিকও করতে পারবে, অযীফা পাঠের বরকতে মানুষ অসংখ্য বিপদাপদ থেকে বেঁচে যায়।

প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই নেক আমলের উপহার আমাদের বুযুর্গদের স্মরণকে জাগ্রত করে। এর মাধ্যমে আমরা নেক আমলের পর্যবেক্ষণ করে নিজের সংশোধণের প্রেরণা পেতে পারি। নেক আমল হলো জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার এবং দোযখ থেকে বাঁচানোর আমলের সমষ্টি। বুযুর্গানে দ্বীনরাও رَحِمَہُمُ اللهُ الْمُبِيْن নিজেদের আমলের জবাবদিহীতা করতেন ও উচ্চ মর্যাদা লাভের ব্যবস্থা করতেন। (জান্নাত কি তৈয়্যারি, ৪০ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

তৃতীয় কারণ হলো, মন্দ সহচর্য

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! প্রসিদ্ধ একটি প্রবাদ রয়েছে: তরমুজ আরেকটি তরমুজকে দেখেই রঙ ধরে। বর্তমানে আমাদের সমাজে গুনাহ বৃদ্ধি পাওয়া, নিজের সংশোধনের চিন্তা করা, নেকীতে মন না লাগানো এবং মৃত্যুর ব্যাপারে উদাসীন হওয়ার একটি কারণ হলো খারাপ বন্ধুরাই, কেননা যখন আমাদের বন্ধুত্ব (Friendship) এমন লোকের সাথে হবে, যাদের না নিজের আখিরাতের কোন চিন্তা আছে আর না অন্যের, তো তাদের সহচর্যে থেকে আমরাও সেই রঙ ধারন করবো এবং এভাবে আমরা আমাদের সংশোধন থেকে উদাসিন হয়ে নিজের মূল্যবান মুহুর্তগুলো অহেতুক অতিবাহিত করে দিবো।