Book Name:Hum Q Nahi Badaltay
মনে রাখবেন!
মন্দ সহচর্য মানুষকে একেবারে নিঃস্ব করে ছাড়ে, বিপদ আপদের দরজা খুলে দেয়। * নামায থেকে
দূরে করে দিতে পারে। * গুনাহের চোরাবালিতে নিক্ষেপ করতে পারে। * পিতামাতার
খেদমত থেকে বঞ্চিত করে দিতে পারে। * অপরের জন্য কষ্টের কারণ হওয়ার পাশাপাশি
ঝগড়ার কারণ হতে পারে। * হত্যাযজ্ঞের কারণ হতে পারে। * চুরি, ডাকাতী, লুটতরাজের
ন্যায় খারাপ কাজে ফেঁসে যেতে পারে।
* নেশায় লিপ্ত
হয়ে যেতে পারে। * হারাম সম্পদ অর্জনে বাধ্য হয়ে যেতে পারে। * অন্তরের কঠোরতার
কারণ হয়ে যেতে পারে।
আমরা একটু ভেবে দেখি যে, আমাদের জীবনে কতবার ভূমিকম্প ও বন্যা এসেছে, যাতে হাজারো লাখো মানুষ মারা গেছে, আমারদের অন্তরের কঠোরতা কিরূপ বেড়ে গেছে যে, ভূমিকম্পের কাঁপুনিতেও আমরা জাগ্রত হতে পারিনি, ভূমিকম্প এবং বন্যায় মৃত্যুর শিকার হওয়ারা যেনো আমাদের বার্তা দিয়ে গেলো যে, হে আমাদের মৃত্যুর আলোচনাকারীরা! শিক্ষার দৃষ্টিতে দেখো! অতিশীঘ্রই তোমরাও মৃত্যুর সূধা পান করবে, মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে, মৃত্যুর দরজা দিয়ে অতিক্রম করতে হবে, তাই এত আনন্দ কিসের, জাগ্রত হও! এখনো সময় আছে, কিন্তু মন্দ সহচর্য এবং গুনাহের চোরাবালিতে ফেঁসে যাওয়ার কারণে আমরা শিক্ষা অর্জন করিনা। আমরা ভূমিকম্পের কাঁপুনি অনুভব করলে ঘর থেকে কোন খোলা স্থানের দিকে চলে যাই, কিন্তু কখনো কি আমরা ভেবেছি যে, ভূমিকম্পের ভয়ে সত্যিকার তাওবা করে আমাদের কদম নামাযের জন্য মসজিদের দিকে অগ্রসর হয়েছে? আমাদের কুরআন তিলাওয়াত কি বৃদ্ধি পেয়েছে? আমরা কি গুনাহ থেকে সত্যিকার তাওবা করেছি? আহ! আমরা এই জীবনে সত্যিকার অর্থে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেয়াতে যেনো সফল হয়ে যাই। আমিন!
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
কবরস্থানে হাজিরীর সুন্নাত ও আদব
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর পুস্তিকা ১৬৩ মাদানী ফুলের ৩৬ নং পৃষ্ঠা থেকে কবরস্থানের হাজিরীর সুন্নাত ও আদব সম্পর্কে শুনবো। প্রথমেই প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর একটি বাণী শুনি, ইরশাদ করেন: আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করা থেকে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর যিয়ারত করো, কেননা সেটা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির কারণ আর আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়। (ইবনে মাযাহ্, ২য় খন্ড, ২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১৫৭১) * (অলী-আল্লাহর মাযার শরীফ বা) যেকোন মুসলমানের কবর যিয়ারতের জন্য যেতে চাইলে মুস্তাহাব হচ্ছে, প্রথমে নিজের ঘরে (মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে) দুই রাকাত নফল নামায আদায় করা, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে একবার আয়াতুল কুরসী ও তিনবার সূরা ইখলাস পড়ে এ নামাযের সাওয়াব সাহিবে কবরকে পৌছিয়ে দেয়া। আল্লাহ পাক সেই মৃত ব্যক্তির কবরে নূর সৃষ্টি করবেন এবং এই (সাওয়াব প্রেরণকারী) ব্যক্তিকে অনেক বেশী সাওয়াব প্রদান করবেন। (ফতোওয়ায়ে আলমগীরি, ৫ম খন্ড, ৩৫০ পৃষ্ঠা) * মাযার শরীফ বা কবর যিয়ারতের জন্য যাওয়ার সময় রাস্তায় অনর্থক কথায় লিপ্ত হবেন না। (প্রাগুক্ত) * কবরস্থানে ঐ সাধারণ রাস্তা দিয়ে যাবেন, যেখানে পূর্বে কখনও মুসলমানদের কবর ছিল না, যে রাস্তা নতুন তৈরী করেছে সেটার উপর দিয়ে যাবেন না। “রদ্দুল মুহতারে” বর্ণিত রয়েছে: (কবরস্থানের কবর বিলীন করে) যে