Book Name:Esal-e-Sawab Ki Barkatain
বরং অল্প অল্প করেও পড়তে পারবেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ বার তো সহজেই পড়তে পারবেন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ এর লিখিত পুস্তিকা “মৃত ব্যক্তি অসহায়ত্ব” থেকে জানাযার আহকাম সম্পর্কে শ্রবণ করি: প্রথমে দুইটি প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বাণী শ্রবণ করুন: (১): যখন কোন জান্নাতী ব্যক্তি ইন্তেকাল করে, যেসব ব্যক্তি তার জানাযা সাথে নিয়ে চলে আর যারা পেছনে চলে আর যারা তার জানাযার নামায আদায় করে তাদেরকে আল্লাহ পাক আযাব দিতে লজ্জাবোধ করেন। (ফেরদৌসুল আখবার, ১/২৮২, হাদিস: ১১০৮) (২) মুমিন বান্দাকে ইন্তেকালের পর সবার আগে যেই পুরস্কার দেয়া হবে তা হলো তার জানাযায় অংশগ্রহন করা সকলকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। (মুসনদিল বাযার, ১১/৮৬, হাদিস: ৪৭৯৬) * জানাযায় আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি, ফরয আদায়, মৃত ব্যক্তি ও তার নিকট আত্মীয়দের মনখুশি ইত্যাদি ভালো ভালো নিয়্যত সহকারে অংশগ্রহন করা উচিত। * জানাযার সাথে যাওয়ার সময় নিজের পরিণামের ব্যাপারে ভাবতে থাকুন যে, যেভাবে আজ একে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ঠিক এভাবেই একদিন আমাকেও নিয়ে যাওয়া হবে, যেভাবে একে কয়েক মণ মাটির নিচে দাফন করা হবে ঠিক তেমনিভাবে একদিন আমাকেও দাফন করা হবে। এইভাবে চিন্তাভাবনা করা ইবাদত ও সাওয়াবের কাজ।
ঘোষণা
জানাযার অবশিষ্ট আহকাম তরবিয়্যতি হালকায় বলা হবে সুতরাং সেগুলো জানার জন্য অবশ্যই তরবিয়্যতি হালকায় অংশগ্রহন করুন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
দা’ওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক ইজতিমায় পঠিত
(১) বৃহস্পতিবার রাতের দরূদ শরীফ
اَللّٰہُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ وَبَارِكْ عَلٰی سَیِّدِنَامُحَمَّدِنِ النَّبِیِّ الْاُمِّیِّ
الْحَبِیْبِ الْعَالِی الْقَدْرِالْعَظِیْمِ الْجَاهِ وَعَلٰی اٰلِہٖ وَصَحْبِہٖ وَسَلِّمْ
বুযুর্গরা বলেছেন: যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) এ দরূদ শরীফ নিয়মিতভাবে কমপক্ষে একবার পাঠ করবে মৃত্যুর সময় রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর যিয়ারত লাভ করবে এবং কবরে প্রবেশ করার সময় এটাও দেখবে যে, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপন রহমতপূর্ণ হাতে তাকে কবরে রাখছেন।
(আফযালুস সালাওয়াতি আ’লা সায়্যিদিস সাদাত, ১৫১ পৃষ্ঠা)