Book Name:Esal-e-Sawab Ki Barkatain
উচিৎ নয়, “সাওয়াব পেশ করা” বলাটা অধিক আদব সম্পন্ন। আলা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত মাওলানা ইমাম আহমদ রযা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এবং অন্যান্য নবী এমনকি অলীদেরও “সাওয়াব প্রদান করা বলাটা” বিয়াদবি, প্রদান করা বড়দের পক্ষ থেকে ছোটদের জন্য হয়ে থাকে বরং নজরানা দেয়া বা হাদিয়া দেয়া বলুন।
(ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ২৬/৬০৯)
মালিকুল উলামা হযরত আল্লামা জাফর উদ্দীন বিহারী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: েইছালে সাওয়াবের (সাওয়াব পৌঁছানোর) চারটি পদ্ধতি রয়েছে: (১) বিনা হিসাবে ক্ষমার দোয়া (২) রহমত লাভের দোয়া (৩) জানাযার নামায এবং (৪) করবের পাশে দাঁড়ানো ও দোয়া করা। (দাউরে সাহাবা মে ইছালে সাওয়াব কি মুখতালিফ সুরতেঁ, ৪৫ পৃ:)
কুরআনে করীম থেকে সাওয়াব পৌঁছানো প্রমাণিত
হে আশিকানে রাসূল! কুরআনে করীমে ইছালে সাওয়াবের পদ্ধতি অর্থাৎ মুমিনের জন্য বিনা হিসাবে ক্ষমার দোয়া করার প্রমাণ স্পষ্ট বিদ্যমান, যেমনটি পারা ২৮, সূরা হাশর ১০ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
وَ الَّذِیْنَ جَآءُوْ مِنْۢ بَعْدِھِمْ یَقُوْلُوْنَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ
(পারা ২৮, সুরা হাশর, ১০) কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: আর যারা তাদের পরবর্তীতে এসে আরয করে, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের মাফ করে দাও, আর আমাদের সেসব ভাইদের মাফ করে দাও যারা আমাদের পূর্বে বিদায় হয়ে গেছে।
হাকিমুল উম্মত হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এখান থেকে দু’টি মাসআলা জানা গেলো, প্রথমটি হলো, শুধু নিজের জন্য দোয়া না করা, বড়দের জন্যও দোয়া করা। বুযুর্গানে দ্বীন رَحِمَہُمُ اللهُ عَلَیْہِمْ اَجْمَعِیْن বিশেষকরে সাহাবায়ে কিরাম ও আহলে বাইতদের رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ ওরস, খতমে কুরআন, খাবার, ফাতিহা ইত্যাদি এসব উচ্চতম বিষয় যে, এতে সেই বুযুর্গুদের জন্য দোয়া রয়েছে।
(তাফসীরে নুরুল ইরফান, ২৮/৮৭৩)
হে আশিকানে আউলিয়া! আসুন! আজকের এই সাপ্তাহিক সুন্নাত ভরা ইজতিমায় আমরা ইছালে সাওয়াব অর্থাৎ সাওয়াব পৌঁছানো সম্পর্কে ঈমান উদ্দীপক ঘটনাবলি ও অন্যান্য বিষয়ে মাদানী ফুল শ্রবণ করি, যেমন
প্রসিদ্ধ সূফী বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বরকতময় খিদমতে উপস্থিত হয়ে এক মহিলা আরয করলো: “আমার যুবতী মেয়ে মারা গেছে, এমন কোন পদ্ধতি বলুন যে, আমি তাকে স্বপ্নে দেখতে পাব।” তিনি তাকে একটি আমল বলে দিলেন। সে তার মরহুমা কন্যাটিকে এমন অবস্থায় দেখলো যে, তার শরীরে আলকাতরার পোশাক, গলায় শিকল আর পায়ে লোহার