Book Name:Esal-e-Sawab Ki Barkatain
বেড়ি! সে হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে স্বপ্নের কথা বললো, শুনে তিনি খুবই চিন্তিত হলেন, কিছুদিন পর হযরত সায়্যিদুনা হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ একটি মেয়েকে স্বপ্নে দেখলেন, যে জান্নাতের মধ্যে ছিল এবং তার মাথায় মুকুট ছিলো। মেয়েটি বললো: “হে হাসান! আপনি কি আমাকে চিনতে পারেননি? আমি সেই মহিলার কন্যা, যিনি আপনাকে আমার অবস্থার কথা বলেছিলেন।” তিনি বললেন: “কোন কারণে তোমার অবস্থার এই পরিবর্তন, যা আমি দেখতে পাচ্ছি?”মরহুমা বললো: “কবরস্থানের পাশ দিয়ে এক ব্যক্তি যাচ্ছিলো আর সে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি দরূদ শরীফ প্রেরণ করলো,তার সেই দরূদ শরীফ পাঠের বরকতে আল্লাহ পাক আমাদের পাচঁ শত পঞ্চাশ (৫৫০) কবরবাসী থেকে আযাব উঠিয়ে নিয়েছেন।”
(মুকাশিফাতুল কুলুব, আল বাবুস সাবি, ২৪ পৃ:)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! দরূদ শরীফের ফযিলত সম্পর্কে যে ঘটনাটি আমরা শুনলাম, এতে ইছালে সাওয়াবের গুরুত্ব প্রকাশ পায় যে, একটি মেয়ে খুবই ভয়ঙ্করভাবে আযাবে লিপ্ত ছিলো, কিন্তু যখন আল্লাহ পাকের এক বান্দা গমনকালে হুযুরে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি দরূদে পাক পাঠ করলো আর সেটার সাওয়াব কবরবাসীদের প্রেরণ করলো, তখন না শুধু সেই মেয়েটি আযাব থেকে মুক্তি পেয়ে গেলো বরং অসংখ্য মৃতেরও আযাব থেকে মুক্তি নসিব হলো। একটু ভাবুন তো! আমাদের প্রতিপালক কিরূপ দয়ালু যে, তিনি শুধুমাত্র একবার দরূদ শরীফের বরকতে অসংখ্য মৃতের আযাব দূরীভূত করে দিলেন, তবে যেই মুসলমান অধিকহারে দরূদে পাক পাঠ করে এবং নেকীর সাওয়াব মরহুম মুসলমানদের প্রেরণ করাতে অভ্যস্ত হবে তবে আল্লাহ পাক ইছালে সাওয়াবকারী এবং যাকে সাওয়াব প্রেরণ করা হলো সবার উপর কিরূপ নেয়ামতের বর্ষণ করবেন। সুতরাং আমাদেরও উচিৎ যে, ইছালে সাওয়াবের বিষয়ে অলসতা করার পরিবর্তে বিভিন্ন সময়ে নিজ মরহুমদেরকে দরূদে পাক এবং নেকীর দ্বারা অর্জিত হওয়া সাওয়াব প্রেরণ করতে থাকা। তাদের জন্য বিনা হিসাবে ক্ষমার দোয়া করতে থাকা, কেননা এটি এমন এক জায়িয ও উত্তম আমল, যার বরকতে মরহুম মুসলমানদের পাশাপাশি জীবিতদেরও উপকার অর্জিত হয়। যেমন
বাহারে শরীয়ত প্রণেতা হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: ইছালে সাওয়াব অর্থাৎ কুরআনে মজীদ বা দরূদ শরীফ বা কালিমায়ে তায়্যিবা বা যেকোন নেক কাজের সাওয়ার অপরকে পৌঁছানো জায়িয। আর্থিক বা শারীরিক ইবাদত (আর্থিক ইবাদত হলো সদকা, দান-অনুদান আর শারীরিক ইবাদত হলো নামায, রোযা ইত্যাদি), ফরয ও নফল সবকিছুর সাওয়াব অপরকে পৌঁছানো যাবে, কেননা জীবিতদের ইছালে সাওয়াব দ্বারা মৃতরা উপকৃত হয়।
(বাহারে শরীয়ত, ৩/৬৪২)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত দুনিয়ায় থাকে, তবে তার চারপাশে তার পিতামাতা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী এবং বন্ধু-বান্ধব অনেকে উপস্থিত থাকে যে, যারা তার সকল