Book Name:Esal-e-Sawab Ki Barkatain
(সুনানে আবু দাউদ, কিতাবুয যাকাত, বাবু ফি ফদলু সাক্বীল মায়ি, ২/১৮০, হাদিস: ১৬৮১)
হাকিমুল উম্মত হযরত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: (মৃতের) পক্ষ থেকে পানি দান করো, কেননা পানি দ্বারা দ্বীনি ও দুনিয়াবী উপকার অর্জিত হয়, বিশেষকরে সেসকল গরম ও শুষ্ক এলাকায় যেখানে পানির স্বল্পতা রয়েছে, অনেকে পানির ফোয়ারা লাগায়, সাধারণ মুসলমানেরা খতমে কুরআন ও ফাতিহা ইত্যাদিতে অন্যান্য জিনিসের সাথে পানিও রেখে দেয়, এসবকিছুর উৎস হলো এই হাদিস শরীফ, কেননা এ থেকে জানতে পারলাম যে, পানির সদকা উত্তম।
(মিরাতুল মানাজিহ, ৩/১০৪-১০৫)
শায়খে তরিকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتْ بَرَکَاتُہُمُ الْعَالِیَہ তাঁর লিখিত রিসালা “ফাতিহা ও ইছালে সাওয়াবের পদ্ধতি” এর ১৫ পৃষ্ঠায় বলেন: হযরত সায়্যিদুনা সা’দ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর পক্ষ থেকে ‘এই কূপটি সা’দের মায়ের জন্য’ উক্তিটির অর্থ হচ্ছে ‘এই কূপটি সা’দের মায়ের ইছালে সাওয়াবের জন্য’। এটার মাধ্যমে বুঝা গেল যে, মুসলমানদের গরু বা ছাগল ইত্যাদি বুযুর্গুদের নামের সাথে সম্বোধিত করাতে কোন বাঁধা নেই। যেমন; কেউ বলল: ‘এটি সায়্যিদুনা গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ছাগল’। কেননা, এই কথা বলার মাধ্যমে বক্তার উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই ছাগলটি সায়্যিদুনা গাউসে পাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ইছালে সাওয়াবের জন্য। স্বয়ং কুরবানীর পশুকেও তো মানুষ একে অন্যের দিকে সম্বোধিত করে থাকে। যেমন; কেউ কুরবানীর পশু নিয়ে যাচ্ছে। এমন সময় কোন ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল: ছাগলটি কার? তখন সে তো এভাবেই বলে: ‘এই ছাগল আমার’। অথবা বলে ‘আমার মামার’। এ ধরণের উক্তিকারীর বিরুদ্ধে যদি কোন আপত্তি না থাকে, তবে তো ‘গাউসে পাকের ছাগল’ বলাতেও কোন প্রকার আপত্তি থাকার কথা নয়। প্রকৃত অর্থে প্রত্যেক কিছুর মূল মালিক একমাত্র আল্লাহ পাকই। আর কুরবানীর ছাগল হোক কিংবা গাউসে পাকেরই হোক, জবাই করার সময় একমাত্র আল্লাহ পাকের নামই উচ্চারণ করা হয়ে থাকে। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাযত করুক।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে সাহাবা ও আহলে বাইত! প্রিয় নবীصَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ও তাঁর জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সাহাবায়ে কিরামদের আমল দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মৃত মুসলমাদের ইছালে সাওয়াব করা, তাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা এবং খাবার ইত্যাদি খাওয়ানো একেবারে জায়িয বরং উত্তম ও পবিত্র পদ্ধতি।
আলা হযরত, ইমামে আহলে সুন্নাত মাওলানা ইমাম আহমদ রযা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মৃত মুসলমানের নামে ভোজের আয়োজন করে ইছালে সাওয়াবের উদ্দেশ্যে তাসাদ্দুক (তথা সদকা) করা নিঃসন্দেহে জায়িয ও মুস্তাহসান (অর্থাৎ পছন্দনীয় আমল) এবং এতে ফাতিহা দ্বারা ইছালে সাওয়াব করা আরও পছন্দনীয় আমল আর দু’টি বিষয়কে একত্র করা অধিক কল্যাণময় (অর্থাৎ কল্যাণের মধ্যে বৃদ্ধি করা)। (ফতোয়ায়ে রযবীয়া, ৯/৫৯৫) প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উত্তম হলো, যাই নেক আমল করে, তার সাওয়াব পূর্বের ও পরের জীবিত ও মৃত মুসলমান বরং সকল মুমিন নর-নারীর জন্য হাদিয়া পাঠান (অর্থাৎ সাওয়াব পৌঁছিয়ে দিন), সবার নিকট সাওয়াব পৌঁছে যাবে আর যে