Book Name:Gaflat Ka Anjam
(১) দুনিয়াবী ভালোবাসা থেকে বাঁচা:
বর্তমান যুগে নেকী থেকে দূরে থাকা এবং উদাসীনতার গভীর গর্তে পড়ে যাওয়ার এক অন্যতম কারণ হল দুনিয়ার ভালোবাসা, যেটা মানুষকে হালাল হারামের পার্থক্য ভুলিয়ে নেকী থেকে দূরে সরিয়ে দেয়, সুতরাং নিজের অন্তর থেকে দুনিয়ার ভালোবাসা বের করে দিন কারণ এটাই সকল ফ্যাসাদের মূল। হুযুর নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যাকে দুনিয়ার ভালোবাসার শরবত পান করানো হয়েছে সে তিনটি জিনিসের স্বাদ অবশ্যই আস্বাদন করবে। (১) এমন কঠোরতা যার কারণে তার ক্লান্তি দূর হবে না। (২) এমন লোভ যার কারণে সে সম্পদশালী হবে না। (৩) এমন আকাঙ্ক্ষা যা সেই পূরণ করতে পারবে না। সুতরাং যে দুনিয়া অন্বেষণ করলো আখিরাত তাকে মৃত্যু পর্যন্ত খুঁজতে থাকবে, যখন সে মারা যাবে তখন তাকে সেটা ধরে ফেলবে। আর যে আখিরাত অন্বেষণ করলো দুনিয়া তাকে খুঁজতে থাকবে এমনকি সে তার মধ্য থেকে তার সম্পূর্ণ রিযিক গ্রহণ করে নিবে। (ত্বাবরানী কবীর, ১০/১৬২, সংখ্যা: ১০৩২৮)
(২) সৎ সংস্পর্শ অবলম্বন করা:
অলসতা পূর্ণ জীবন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নেককার লোকদের সংষ্পর্শ অবলম্বন করুন, এর বরকতে আমাদের গুনাহ থেকে বাঁচার এবং নেকী করার সামর্থ্য লাভ হবে। বর্তমান যুগে দাওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি পরিবেশ সৎ সংস্পর্শ পাওয়ার জন্য কোন বড় নেয়ামত থেকে কম নয়। اَلْحَمْدُ لِلّه এই দ্বীনি পরিবেশের বরকতে এখনো পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মুসলমান গুনাহে ভরা জীবন ছেড়ে নেক কাজের আমলকারী হয়ে গেছে। আর মন্দ সংস্পর্শ থেকে অবশ্যই বাঁচার চেষ্টা করুন, মন্দ সংস্পর্শ আমাদের দুনিয়ার জীবনের পাশাপাশি আখিরাত ধ্বংসের পাথেয় হতে পারে। হাদীসে মুবারাকায় মন্দ লোকের সংস্পর্শ থেকে বাঁচার হুকুম রয়েছে। এই প্রসঙ্গে দুটি প্রিয় নবীর বাণী শুনুন এবং আমল করার চেষ্টা করুন। (১) ইরশাদ হচ্ছে: মন্দ সঙ্গী থেকে বেঁচে থাকো,কারণ সে জাহান্নামের একটি টুকরা, তার ভালোবাসা তোমাকে উপকার দেবে না আর সে তোমার সাথে তার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে না। (ফেদৌসুল আখবার, ১/২২৪, হাদীস: : ১৫৭৩) (২) ইরশাদ হচ্ছে: অসৎ সঙ্গ থেকে বেঁচে থাকো, তোমাকে তার মতোই চেনা হবে। (অর্থাৎ: মানুষ যেমন লোকের সাথে ওঠা বসা করে, লোকেরাও তাকে সেভাবেই মনে করে। (ইবনে আসাকির,১৪/৪৬)