Book Name:Ikhtiyarat e Mustafa
وَ اسْتَشْهِدُوْا شَهِیْدَیْنِ مِنْ رِّجَالِكُمْۚ
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং দু’জন সাক্ষী করে নাও নিজেদের পুরুষদের মধ্য থেকে।
জানা গেলো, যে কোন বিষয়ে এক পুরুষের সাক্ষ্য শরীয়াতে গ্রহণযোগ্য হবে না, এটিই আল্লাহ পাকের নির্দেশ। যা সকল মুসলমানের জন্যই, কিন্তু হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নিজের ইচ্চা অনুযায়ী হযরত খুযাইমা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে এই সাধারণ নির্দেশ থেকে মুক্ত ঘোষণা করে দিয়ে, যে কোন বিষয়ে তাঁর একাকী সাক্ষ্যকে দু’জন পুরুষের সাক্ষ্যর সমতুল্য করে দিয়েছেন এবং ইরশাদ করলেন: “مَنْ شَھِدَ لَہُ خُزَیْمَۃُ اَوْ شَھِدَ عَلَیْہِ فَہُوَ حَسْبُہُ অর্থাৎ খুযাইমা (رَضِیَ اللهُ عَنْہُ) কারো পক্ষে সাক্ষ্য দেয় বা কারো বিপক্ষে সাক্ষ্য দেয়, তার একার সাক্ষ্য যথেষ্ট।” (সুনানে কুবরা, কিতাবুশ শাহাদাত, বাবুল আমর বিল আশহাদ, ১০/২৪৬, হাদীস: ২০৫১৬) (অর্থাৎ তিনি সাক্ষ্য দেয়ার পর সাক্ষ্য দাতার সংখ্যা পুরণের জন্য অন্য কোন সাক্ষী প্রয়োজন নেই)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
ইদ্দতের হুকুমে হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ক্ষমতা
যদি কোন মহিলার স্বামী ইন্তেকাল করে এবং গর্ভবতী না হয় তবে তার ইদ্দত আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনুল কারীমে চার (৪) মাস দশ (১০) দিন বর্ণনা করেছেন। যেমন- সূরা বাকারার ২৩৪ নং আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে:
وَ الَّذِیْنَ یُتَوَفَّوْنَ مِنْكُمْ وَ یَذَرُوْنَ اَزْوَاجًا یَّتَرَبَّصْنَ بِاَنْفُسِهِنَّ اَرْبَعَةَ اَشْهُرٍ وَّ عَشْرًاۚ
(পারা: ২, সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৩৪)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: এবং তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করে এবং স্ত্রীদের রেখে যায়, তারা (স্ত্রীগণ) চার মাস দশ দিন নিজেদের বিরত করে রাখবে।