Book Name:Sadqat K Fazail
আপন প্রতিপালককে ভয় করেনা, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেনা এবং এতে আল্লাহ পাকের হক সমূহ সম্পর্কে জানেনা (সদকা ও যাকাত আদায় করেনা), এই ব্যক্তি নিকৃষ্ট পর্যায়ের। (৪) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ পাক সম্পদও দেয়নি এবং জ্ঞানও দেয়নি, সে বলে যে, যদি আমার নিকট সম্পদ থাকতো তবে আমি অমুকের (তৃতীয় ব্যক্তি) ন্যায় ব্যয় করতাম, সে তার নিয়্যতের প্রতিফল পাবে এবং এই দু’জনের (তৃতীয় এবং চতুর্থ ব্যক্তি) গুনাহ সমান। (মিরাতুল মানাজিহ শরহে মিশকাতুল মাসাবিহ, ৭ম খন্ড, ৯৯ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা দেখলেন তো! কিছু লোক যারা নিজের সম্পদ থেকে কিছু অংশ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় করে, অনুরূপভাবে কিছু লোক যারা অভাবের কারণে সম্পদ ব্যয় তো করতে পারেনা, কিন্তু তাদের এরূপ ইচ্ছা হয় যে, যদি আমার নিকট সম্পদ আসে তবে আমিও আল্লাহ পাকের পথে ব্যয় করবো, এরূপ সৌভাগ্যবানদের সম্পর্কে হাদীসে পাকে ইরশাদ করা হয়েছে যে, তারা উত্তম মর্যাদার অধিকারী হবে। আহ! আমরাও যদি ঐসকল সৌভাগ্যবানদের মাঝে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতাম এবং বুযুর্গানে দ্বীনদের رَحِمَہُمُ اللهُ الْمُبِيْن পদ্ধতি অনুসারে চলে প্রবল আগ্রহের সহিত সদকা ও খয়রাত প্রদানকারী হয়ে যেতাম। আমাদের বুযুর্গানে দ্বীনদের رَحِمَہُمُ اللهُ الْمُبِيْن সদকা প্রদানের প্রেরণা এরূপ ছিলো যে, যদি তাঁদের নিকট কোন ভিক্ষুক আসতো, তবে এই পবিত্র আত্মারা কখনোই তাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দিতেন না, যদিওবা তাদেরকে দেয়ার পর নিজের জন্য কিছুই অবশিষ্ট না থাকে, অর্থাৎ তাদের আল্লাহ পাকের প্রতি এরূপ দৃঢ় বিশ্বাস থাকতো যে, শুধু অতিরিক্ত দ্রব্যাদী নয় বরং নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসও সদকা করে দিতেন। আসুন! এপ্রসঙ্গে কয়েকটি ঘটনাবলী শ্রবণ করি।
জান্নাতে ঘরের জামানত
এক ব্যক্তি খোরাসান থেকে বসরা এলো এবং সে প্রসিদ্ধ আল্লাহর অলী হযরত সায়্যিদুনা হাবীর আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর নিকট আমানত স্বরূপ দশ হাজার (১০০০০) দিরহাম গচ্ছিত রাখে এবং বললো যে, আপনি আমার জন্য বসরায় একটি ঘর কিনবেন, যেনো যখন আমি মক্কা থেকে ফিরে আসবো তখন সেই ঘরে থাকতে পারি (একথা বলে