Book Name:Sadqat K Fazail
বললো: “যে ৪টি দিরহাম দিয়েছিলাম তার বিনিময় যেন পাই।” মুনীব বলে উঠলো: “আমি তোমাকে ৪টি দিরহামের পরিবর্তে ৪ হাজার দিরহাম দিলাম।” পূনরায় জিজ্ঞাসা করলো: “তৃতীয় দোয়া কী ছিলো?” বললো: “আমার ও আমার মুনীবের যেনো গুনাহ হতে তাওবা করার সামর্থ্য লাভ হয়।” একথা শুনতেই মুনীবের মুখে ইস্তিগফার জারী হয়ে গেলো আর বলতে লাগলো: “আমি আল্লাহ পাকের দরবারে সকল গুনাহ থেকে তাওবা করছি।” আর ৪র্থ দোয়াটিও বলে দাও। বললো: “আমি আবেদন করেছি, আমার, আমার মুনীবের, আপনার এবং ইজতিমায় উপস্থিত সকল ব্যক্তির গুনাহ সমূহ যেনো ক্ষমা হয়ে যায়।” একথা শুনে মুনীব বললো: তিনটি বিষয় যা আমার আয়ত্বে ছিলো, তা আমি করে দিয়েছি, ৪র্থটি অর্থাৎ সকলের গুনাহ ক্ষমার বিষয়টি আমার আয়ত্বের বাহিরে। ঐ রাতেই মুনীব স্বপ্নের মধ্যে কাউকে বলতে শুনলো, “যা তোমার আয়ত্বে ছিলো, তা তুমি করে দিয়েছো আর আমি “الرَّحْمٰنِ اَرْحَمُ” আমি তোমাকে, তোমার গোলামকে, মনসুরকে এবং সকল উপস্থিত ব্যক্তিদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।”
(ফয়যানে সুন্নাত, ফয়যানে بِسْمِ الله, ১ম খন্ড, ৮৬ পৃষ্ঠা। রওযুর রিয়াহীন, ২২২,২২৩ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! আল্লাহ পাকের পথে খরচ করার কিরূপ বরকত অর্জিত হয়ে থাকে। সেই গোলাম শুধুমাত্র চার দিরহাম সদকা করেছে, আর আল্লাহ পাক তাকে তার মুনিবের মাধ্যমে সেই চার (৪) দিরহামের পরিবর্তে চার (৪০০০) হাজার দিরহাম প্রদান করেন এবং সে গোলামী থেকে মুক্তির বার্তাও পেয়ে গেলো, তাছাড়া আল্লাহ পাক সেই সদকার বরকতে গোলাম এবং তার মুনিবসহ অনেক লোককে ক্ষমাও করে দিলেন। বাস্তবেই যে আল্লাহ পাকের পথে একনিষ্টতা সহকারে সদকা করে, আল্লাহ পাক তাকে দ্বিগুণ প্রতিদান দান করেন, বরং এর চেয়েও বেশি দান করা হয়, সুতরাং আমাদেরও উচিৎ, মাঝে মাঝে আল্লাহ পাকের পথে অবশ্যই সামর্থ্য অনুযায়ী সদকা করতে থাকা, اِنْ شَآءَ الله আমাদের এর অসংখ্য দ্বীনি ও দুনিয়াবী বরকত অর্জিত হবে। আল্লাহ পাকের পথে সদকা ও খয়রাত করার গুরুত্ব ও ফযীলতের অনুমান এই বিষয়টি দ্বারা করুন যে, স্বয়ং আমাদের প্রিয় আল্লাহ পাক কুরআনে মাজীদ, ফোরকানে হামিদে সদকা ও খয়রাত করার আদেশ ইরশাদ করেছেন এবং বিভিন্ন স্থানে সদকা ও খয়রাত