Book Name:Jhoot Ki Tabah Kariyan
সম্মান ও প্রসিদ্ধি লাভ কারীরা মনে রাখবেন, মৃত্যুর পর মিথ্যার আযাব কখনোই সহ্য করা যাবে না।
রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: স্বপ্নে এক ব্যক্তি আমার নিকট এলো এবং বললো: চলুন! আমি তার সাথে চলা শুরু করলাম, আমি দু’জন মানুষকে দেখলাম, তাদের মধ্যে একজন দাঁড়ানো এবং অপরজন বসা ছিলো, দাঁড়ানো ব্যক্তির হাতে লোহার সাঁড়াশি (লোহার পেরেক বের করার যন্ত্র) ছিলো, যেটা দিয়ে সে বসা ব্যক্তির এক চোয়ালে ঢেলে তা মাথার পেছনের অংশ পর্যন্ত ফুঁড়ে দিতো, অতঃপর সাঁড়াশি দিয়ে বের করে অপর চোয়ালে ঢুকিয়ে দিতো, ততক্ষণে পূর্বের চোয়াল তার আসল রূপে ফিরে আসতো, আমি ডেকে আনা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলাম: এটা কে? সে বললো: এটা হলো মিথ্যুক ব্যক্তি, তাকে কিয়ামত পর্যন্ত এই আযাবই দেয়া হবে।
(মাসাভিল আখলাক লিল খারাইতি, ৭৬ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৩১। মিথ্যুক চোর, ১৬ পৃষ্ঠা)
প্রসিদ্ধ বুযুর্গ হযরত সায়্যিদুনা আব্দুর রহমান হাতেম আছাম বলখী
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমাদের নিকট এ কথা পৌঁছেছে যে, “মিথ্যুক” দোযখে কুকুরের আকৃতিতে পরিবর্তন হয়ে যাবে। “হিংসুক” জাহান্নামে শূকরের আকৃতিতে এবং “গীবতকারী” জাহান্নামে বানরের আকৃতিতে পরিবর্তন হয়ে যাবে। (তাম্ববীহুল মুগতাররীন, ১৯৪ পৃষ্ঠা) (মিথ্যুক চোর, ১৩ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই বর্ণনায় যেমনিভাবে নিজের মুসলমান ভাইয়ের নেয়ামতকে দেখে হিংসার শিকার হওয়া ব্যক্তি এবং মানুষের গীবতকারীদের জন্য শিক্ষা রয়েছে, তেমনিভাবে মিথ্যাবাদীদের জন্য শিক্ষা বিদ্যমান। যদিওবা মিথ্যা বলে এই ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে সফলতা অর্জনকারীরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়, কিন্তু কবর ও আখিরাতে আফসোস করে হাত কচলানো ছাড়া তাদের কাছ আর কোন কিছু করার থাকবে না। একটু ভাবুন! দুনিয়ায় দাঁতের ব্যথা সহ্য করতে না পারা ব্যক্তিরা, আখিরাতে চোয়াল বিদীর্ণ করার কষ্ট কিভাবে সহ্য করবে? দুনিয়ায় একটি মশার কামড় দিলে অধৈর্য হয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা, মিথ্যা বলার কারণে কবরে হওয়া আযাবকে কিভাবে সহ্য করবে? আর অনেক তো এমনও রয়েছে যে, মিথ্যুক ব্যক্তি তার মিথ্যার কারণে এই দুনিয়াতেই আল্লাহ পাকের আযাবে লিপ্ত হয়ে যায়।
এক ব্যক্তি আপন চাচাতো ভাইয়ের (Cousin) সম্পদ চুরি করল, মালিক চোরকে হেরম শরীফে ধরে ফেলল এবং বলল: এগুলো আমার সম্পদ। চোর বলল: তুমি মিথ্যা বলছ। ঐ ব্যক্তি বলল: এমন (মিথ্যা কথা) হলে কসম করে দেখাও। এটা শুনে ঐ চোর (কা’বা শরীফের সামনে) “মকামে ইব্রাহিম” এর পাশে দাঁড়িয়ে কসম করল, এটা দেখে সম্পদের মালিক “রুকনে ইয়ামেনী” ও মকামে ইব্রাহিম এর মধ্যখানে দাঁড়িয়ে দোয়া করার জন্য হাত উঠালেন, আর দোয়া করে হাত নামানোর আগেই, চোর পাগল হয়ে গেল এবং মক্কা শরীফে এভাবে চিৎকার করতে লাগল: আমার কি হয়ে গেল! ও সম্পদের কি হয়ে গেল! এবং সম্পদের মালিকের কি হয়ে গেল! এই সংবাদ আল্লাহ পাকের প্রিয় নবী, রাসূলে আরবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দাদাজান হযরত আব্দুল