Jhoot Ki Tabah Kariyan

Book Name:Jhoot Ki Tabah Kariyan

ঠাট্টাচ্ছলে মিথ্যা বলা

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এতে কোন সন্দেহ নেই যে, মিথ্যা আমাদের সমাজে একটি ভাইরাসের ন্যায় ছড়িয়ে পড়েছে। এমন কোন বৈঠক নেই যা মিথ্যা থেকে নিরাপদ, বিশেষকরে কৌতুক করে মিথ্যা বলা তো সাধারণ ব্যাপার, খোশগল্পের আসর আর একে সুন্দর করার জন্য মিথ্যা কৌতুক, মিথ্যা কাহিনী এবং মিথ্যা গল্প শুনিয়ে মানুষকে হাঁসানো। অনুরূপভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো, স্যোশাল মিডিয়ার (Social Media) মাধ্যমে কারো নামে মিথ্যা বলে ছড়িয়ে দেয়াকে তো মন্দই মনে করা হচ্ছে না। অথচ এসকল বিষয়ে শয়তান সন্তুষ্ট এবং নিজের আখিরাত ধ্বংস নিহিত। মিথ্যার প্রচলিত অবস্থার মধ্যে এটাও একটি বিপদজনক অবস্থা হলো কোর্টে (আদালতে) মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। মিথ্যার এই অবস্থা অর্থাৎ আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া সবচেয়ে বিপদজনক। কেননা, এতে মানুষের হক এবং সম্মান ও সম্ভ্রমে ক্ষতি সাধিত হয় এবং এতে সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়।

 

        রাসূলূল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, আল্লাহ পাকের সাথে শিরকের সমান। (সুনানে তিরমিযী, আবওয়াবুশ শাহাদাত, ৪/১৩৩) অনুরূপভাবে মিথ্যা শপথ করাও খুবই মন্দ স্বভাব, আফসোস! আমাদের সমাজে মিথ্যা শপথ সমূহ করে উন্নতি করাকে বড় কৃতিত্ব বলে মনে করা হয় এবং যে মিথ্যা আশ্রয় না নিয়ে সর্বদা সত্য বলায় অভ্যস্ত, তাকে বোকা, নির্বোধ এবং অপরিনত মনে করা হয়। আর সত্যকে উন্নতির পথে অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা বলে বিবেচনা করা হয়। সম্ভবত এই কারণেই অনেক সময় মন্দ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মিথ্যা শপথ করতেও দ্বিধা করে না। অথচ এটাও কবীরা গুনাহ। আসুন! মিথ্যা শপথ করা সম্পর্কে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুটি বাণী শ্রবণ করি।

১.  ইরশাদ হচ্ছে: আল্লাহ পাকের সাথে শরীক করা, পিতামাতার অবাধ্যতা করা, কোন প্রাণ হত্যা করা এবং মিথ্যা শপথ করা কবীরা গুনাহ।

(বুখারী, কিতাবুল ঈমান ওয়ান নুযুর, ৪/২৯৫, হাদীস ৬৬৭৫)

২.  ইরশাদ হচ্ছে: যে তার শপথের মাধ্যেমে কোন মুসলমানের হক আত্মসাৎ করলো, তবে আল্লাহ পাক তার উপর জাহান্নামকে ওয়াজিব এবং জান্নাতকে হারাম করে দিলো। সাহাবায়ে কিরামগণ (عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان) আরয করলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! যদি তা সামান্য জিনিষ হয় তবে? ইরশাদ করলেন: যদিওবা লুবানবাতি হোক না কেন।

(মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, ৮২ পৃষ্ঠা, হাদীস ১৩৭,)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

        প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে রাখবেন! মিথ্যা নাজায়িয ও গুনাহ, কিন্তু এমন কিছু অবস্থা রয়েছে যে, যেখানে কোন প্রয়োজনের ভিত্তিতে শরীয়ত মিথ্যা বলার অনুমতিও দিয়েছে এবং এতে গুনাহ নেই, তবে যে ভাল উদ্দেশ্য সত্য বলেও অর্জন করা যায় আর মিথ্যা বলেও, তবে তা অর্জনের জন্য মিথ্যা বলা হারাম, যদি ভাল কোন উদ্দেশ্য মিথ্যা বলে অর্জন করতে পারবে এবং সত্য বললে অর্জিত হবে না, তবে তখন কিছু কিছু অবস্থায় মিথ্যা বলাও জায়িয বরং ওয়াজিব হয়ে যায়, যেমন; (১) কোন নিরাপরাধ ব্যক্তিকে অত্যাচারি শাসক হত্যা করতে চায় বা কষ্ট দিতে চায় এবং সে তার ভয়ে লুকিয়ে আছে, অত্যাচারি ব্যক্তি কাউকে জিজ্ঞাসা করলো যে, সে কোথায়? সে যদিওবা জানে, তবুও বলতে পারবে যে, আমি জানিনা। (২) বা কারো আমানত তার