Book Name:Malakul Maut Ke Waqiaat

থাকবে, কেউ একে অপরের সাথে ঝগড়া করবে, কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত থাকবে এমন সময় হঠাৎ বিকট  আওয়াজ হবে, সেটি শুনে অর্ধেক মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাবে, অতঃপর ৩ দিন পর্যন্ত কোনো হুশ থাকবে না, অবশিষ্ট অর্ধেক মানুষ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে এবং তারা পাগল হয়ে যাবে। এই মুহূর্তে মানুষের এমন অবস্থা হবে যে, জমিন ও আসমানের মধ্যে বজ্রপাতের মতো বিকট শব্দ ভেসে উঠবে, তারই সাথে সাথে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা সেই সময়, যেই সময় পর্যন্ত শয়তানকে অবকাশ দেওয়া হয়েছিল, এখন আল্লাহ পাক হযরত মালকুল মওত عَلَیْہِ السَّلَام কে নির্দেশ দেবেন: হে মালকুল-মওত! আমি পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের গণনার সমান তোমার সাহায্যকারী তৈরি করেছি, জমিন ও আসমানের সমস্ত মানুষের শক্তি তোমার মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে, আজ তোমাকে ক্রোধের পোশাক পরিধান করানো হচ্ছে, আজ আমার ক্রোধের সাথে শয়তানের কাছে পৌঁছো এবং তাকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করাও আর আজ পর্যন্ত যতো জ্বিনমানুষের উপর মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করেছে, এই সকল কষ্টের চেয়েও অনেক গুণ বেশি যন্ত্রণা এই অভিশপ্তের উপর অর্পন করো

        সেই সাথে জাহান্নামের দারোয়ানকে জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে, অতঃপর হযরত মালকুল-মওত عَلَیْہِ السَّلَام শয়তানের কাছে এমন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আসবেন যে, জমিন ও  আসমানবাসী তার চেহারা দেখে নেয়, তাহলে তারা বরফের ন্যায় গলে যাবে। হযরত মালকুল- মওত عَلَیْہِ السَّلَام শয়তানকে তিরস্কার করবেন, তার তিরস্কারের আওয়াজে এত গর্জন হবে যে, যদি  পুর্ব ও পশ্চিমের মানুষ তা শুনে নেয় তাহলে তাদের বিবেক বুদ্ধি কাজ করা বন্ধ হয়ে যাবে। এই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে শয়তান পালিয়ে যাবে, হযরত মালাকুল মওত عَلَیْہِ السَّلَام বলবেন: হে পাপিষ্ঠ , দাঁড়া! আজ অবধি যাদেরকে তুই পথভ্রষ্ট করে জাহান্নামে পৌঁছিয়েছিস, আজ তাদের সকলের যন্ত্রণার সমপরিমাণ কষ্ট তোকে দেওয়া হবে। তুই কত লম্বা আয়ু পেয়েছিস, কতজনকে পথভ্রষ্ট করেছিস, কতজনকে জাহান্নামে পাঠিয়েছিস, তারা সবাই তোর জন্য জাহান্নামে অপেক্ষা করছে, তোর সময়সীমা শেষ, এখন দৌঁড়! কতদূর দৌঁড়াবে? তখন অভিশপ্ত শয়তান পালানোর মতো কোনো জায়গা পাবে না, সে পাগলের মতো কখনো পূর্ব দিকে যাবে, কখনো পশ্চিমে যাবে, কখনো সাগরে ডুব দিবে কিন্তু সে যেখানেই যাবে, হযরত মালাকুল মওত عَلَیْہِ السَّلَام তার সামনেই থাকবেন। এভাবে সে দৌড়ে হযরত আদম
عَلَیْہِ السَّلَام 'র মাজারে পৌঁছবে এবং বলবে: হে আদম! তোমার কারণেই আমি বিতাড়িত হলাম, হায়! তোমার যদি জন্মই না হতো।

        اَللهُ اَكْبَرُ! কত নিকৃষ্ট! এমন পরিস্থিতিতেও নিজের গুনাহের জন্য অন্যকে দোষারোপ করছে। যাই হোক! এখন সে ছুটে পালিয়ে সেই জায়গায় আসবে যেখানে সে প্রথমবার অভিশপ্ত হয়ে পৃথিবীতে নেমে এসেছিল, এখানে জমিন আগুনের ন্যায় জ্বলতে থাকবে, জাহান্নামীদের তাড়া