Book Name:Faizan e Rabi ul Awwal
আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ “কুরআন” এসেছে, রবিউল আউয়ালে বিশেষ করে বারো তারিখে رَحْمَۃٌ لِّلْعٰلَمِیْن অর্থাৎ মুহাম্মদ মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم জন্ম গ্রহণ করেন। এই দয়া ও রহমত বা এর খুশি উদযাপন করা তোমাদের দুনিয়াবী জমাকৃত ধন ও সম্পদ, টাকা পয়সা, জায়গা সম্পত্তি, পশু পাখি, ক্ষেত খামার বরং সন্তান সন্তুতি সবকিছুর চেয়ে উত্তম, কেননা এই খুশির উপকারীতা ব্যক্তিগত নয় বরং জাতিগত। সাময়িক নয় বরং স্থায়ী। শুধু দুনিয়ায় নয় বরং দ্বীন ও দুনিয়া উভয়ের। শারীরিক নয় বরং মানসিক ও রূহানী। নষ্ট নয় বরং এতে সাওয়াব রয়েছে।
(তাফসীরে নাঈমী, ১১তম পারা, সূরা ইউনুস, ৫৮নং আয়াতের পাদটীকা, ১১, ৫৮/৩৭৮)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো! রবিউল আউয়াল মাস এবং বিশেষ করে এই মুবারক মাসের বারো তারিখ খুবই মহত্বপূর্ণ ও বরকতময়, কেননা এই বারভী তারিখে শিরক ও বর্বরতার সকল অন্ধকার নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে আলোই আলো ছেঁয়ে গেছে। আনন্দের পরিবেশ ছড়িয়ে পড়েছে। হযরত জিব্রাঈল আমিন عَلَیْہِ السَّلَام কাবার ছাদে পতাকা লাগিয়েছেন। ইরানের বাদশাহ কিসরার প্রাসাদে ভূমিকম্প এসে গেলো, তার প্রাসাদে ফাটল ধরে গেলো। এক হাজার বছর ধরে জ্বলা আগ্নেয়গিরি স্বয়ংক্রিয় ভাবেই নিভে গেলো। আল্লাহ পাকের আদেশে আসমান এবং জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিলো। শয়তানের মুখ কালো হয়ে গেলো, আশিকানে রাসূলের জন্য ঈদেরও ঈদ। যা শবে কদরের চেয়েও উত্তম।
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দীস হযরত শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: নিঃসন্দেহে রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ‘র শুভাগমনের রাত শবে কদরের চেয়েও উত্তম। কেননা বিলাদতের রাত প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র এই দুনিয়ায় শুভাগমনের রাত আর শবে কদর প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কে প্রদান কৃত একটি রাত। তো যে রাত রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র পবিত্র সত্তা প্রকাশিত হওয়ার কারণে সম্মানিত হয়েছে, তা ঐ রাতের চেয়েও বেশী মর্যাদাবান ও সম্মানিত, যা ফেরেশতা অবতীর্ণ হওয়ার কারণে সম্মানিত হয়েছে। অর্থাৎ শবে কদর। (মা-ছাবাতা বিস সুন্নাহ্, ১৫৩ পৃষ্ঠা)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
হে আশিকানে রাসূল! আমাদের উচিৎ যে, শরীয়তের সীমানার মধ্যে থেকে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটি (অর্থাৎ বারভী শরীফ) এবং বিশেষ করে পুরো রবিউল আউয়ালেই নেক আমল করে অতিবাহিত করা, এই পবিত্র মাসে ফরয নামাযের পাশাপাশি নফল নামাযও আদায় করুন। ফরয নামাযের পাশাপাশি তাহাজ্জুদের নামাযও আদায় করুন। ইশরাক চাশতের নামাযও আদায় করুন। আওয়াবিনের নামাযও আদায় করুন। অধিকহারে কুরআন তিলাওয়াত করুন। অধিকহারে দান ও সদকা করুন। মুসলমানদেরকে নেকীর দাওয়াত দিন। তাদেরকে গুনাহ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করুন। মাদানী কাফেলায় শুধু নিজে নয় বরং অন্যান্য ইসলামী ভাইদেরও নিয়ে সফর করুন। দাওয়াতে ইসলামীর সাপ্তাহিক ইজতিমায় অংশ গ্রহণ