Book Name:Sakhawat e Mustafa
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উল্লেখিত হাদীসে মুবারকা ও ওলামায়ে কেরামের গবেষণা থেকে বোঝা গেলো যে, আমাদের আক্বা, প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم সহ অন্যান্য আম্বিয়া কেরামগণ عَلَیْهِمُ السَّلَام আপন আপন মাযারে না শুধুমাত্র জীবিত আছেন বরং তাঁদেরকে রিযিকও দেয়া হয়, যেখানে চান তাশরিফ নিয়ে যান আর যমিন ও আসমানের বাদশাহীতে হস্তক্ষেপও করেন।
দানশীলতার দৌলত পাওয়ার মানসিকতা কিভাবে হবে?
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যদি আমরাও দানশীলতার অভ্যাস গড়তে চাই তাহলে আসুন! এই প্রসঙ্গে কিছু মাদানী ফুল শ্রবণ করার সৌভাগ্য অজন করি।
দানশীলতার ফযিলত ও কৃপণতার পরিণাম প্রসঙ্গে হাদীসে মুবারকা এবং সাহাবায়ে কেরাম ও বুযুর্গানে দ্বীন رَحِمَہُمُ اللهُ এর জীবনী অধ্যয়ন করুন, اِنْ شَآءَ الله সেটার বরকতে কৃপণতার স্বভাব দূর ও দানশীলতার মানসিকতা হবে।
(২): সম্পদের ভালোবাসা বের করে দিন!
নিজের হৃদয় থেকে সম্পদের ভালোবাসা বের করে দিন কেননা যতক্ষণ পর্যন্ত মাল ও দৌলতের ভালোবাসা অন্তরে থাকবে, আল্লাহ পাকের রাস্তায় ব্যয় করতে মন চাইবে না। হযরত হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন, আল্লাহ পাকের শপথ! যে দিরহামকে (অর্থাৎ দৌলত) সম্মান করে, আল্লাহ পাক তাকে অপদস্ত করেন। বর্ণিত আছে, সর্বপ্রথম দিরহাম ও দিনার আবিষ্কার করা হলে শয়তান সেগুলো নিয়ে তার কপালের উপর রাখলো অতঃপর সেগুলোকে চুম্বন করলো আর বললো, যে এগুলোকে ভালোবাসলো সে আমার গোলাম। (ইহয়াউল উলুম, ৩/২৮৮। আদাবে তুয়াম, ৩৬৬ পৃ:)
(৩): মুসলমানদের কল্যাণ কামনা করুন!
নিজের হৃদয়ে মুসলমান ভাইয়ের কল্যাণ কামনার প্রেরণা সৃষ্টি করুন, যেমন নিজের বন্ধু, আত্মীয় স্বজন বা প্রতিবেশিদের খবরাখবর নিতে থাকুন, তাদের দুঃখ কষ্টে সাধ্যমতো তাদের প্রয়োজনাদি পূরণ করুন। রাসূলে আকরাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم বলেন: যে (ব্যক্তি) কোন মুসলমানের দুনিয়ার একটি পেরেশানী দূর করবে আর যে দরিদ্রদের জন্য দুনিয়াতে সহজতা প্রদান করবে, আর যে দুনিয়াতে কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে আল্লাহ পাক দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন আর বান্দা যতক্ষণ আপন (মুসলমান) ভাইকে সাহায্য করতে থাকে, আল্লাহ পাকও তাকে সাহায্য করতে থাকেন।
(তিরমিযী, কিতাবুল বির ওয়াস সিলা, নং: ১৯৩৭, ৩/৩৭৩)
(৪): অন্তর থেকে ঘৃণা ও ক্ষোভ বের করে দিন!
নিজের অন্তরে আপন কোন মুসলমান ভাইয়ের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ থাকলে তাও বের করে দিন , কেননা যখন অন্তরে কারো প্রতি ঘৃণা থাকবে তখন তার জন্য ব্যয় করার বা যেকোনোভাবে সাহায্য করার প্রতি মন রাজি হবে না। সুতরাং ঘৃণা ও ক্ষোভ দূর করার ও