Book Name:Sakhawat e Mustafa
মনে রাখবেন! মসজিদে খাওয়া, পান করা, ঘুমানো বা সেহেরী, ইফতার করা এমনকি যমযমের পানি বা দম করা পানি পান করারও শরয়ীভাবে অনুমতি নেই, তবে যদি ইতিকাফের নিয়্যত করা হয় তবে এই সকল বিষয় জায়িয হয়ে যাবে। ইতিকাফের নিয়্যতও শুধুমাত্র পানাহার বা ঘুমানোর জন্য করা উচিৎ নয় বরং এর উদ্দেশ্য যেনো আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিরই হয়। “ফতোওয়ায়ে শামী”তে বর্ণিত রয়েছে: যদি কেউ মসজিদে পানাহার বা ঘুমাতে চায় তবে তবে ইতিকাফের নিয়্যত করে নিন, কিছুক্ষণ আল্লাহ পাকের যিকির করুন অতঃপর যা ইচ্ছা করুন (অর্থাৎ এবার চাইলে পানাহার বা ঘুমাতে পারেন)।
দরুদ শরীফের ফযিলত
আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী, রাসূলে আরবী,
হুযুর নবী করীম
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন:
يَااَيُّهَا النَّاسُ اِنَّ اَنْجَاكُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ اَهْوَالِهَا وَ مَوَاطِنِهَا اَكْثَرُكُمْ عَلَىَّ صَلَاةً فِىْ دَارِالدُّنْيَا
হে লোকেরা! নিশ্চয় কিয়ামতের কঠিন ভয়াবহতা ও সেটার হিসাব নিকাশ থেকে খুব দ্রত সেই ব্যক্তি মুক্তি পাবে তোমাদের মধ্যে যে দুনিয়াতে আমার উপর অধিক পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ করবে।
(ফিরদাউসুল আখবার, ২/৪৭১ পৃ:, হাদীস: ৮২১০)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
বয়ান শোনার নিয়্যত
প্রিয় নবীصَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: اَفْضَلُ الْعَمَلِ اَلنِّيَّۃُ الصَّادِقَۃُ অর্থাৎ সত্য নিয়্যত সবচেয়ে উত্তম আমল। (জামে সগীর, ৮১ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১২৮৪)
হে
আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ে নিন
কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। বয়ান শ্রবণ করার পূর্বেও
ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন নিয়্যত করুন! * ইলম অর্জন
করার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো
* আদব সহকারে বসবো * বয়ানের মাঝখানে
উদাসিনতা থেকে বেঁচে থাকবো * নিজের সংশোধনের
জন্য বয়ান শ্রবণ করবো * যা শুনবো তা অন্যের নিকট পৌঁছিয়ে
দেয়ার চেষ্টা করবো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উদারতা
হযরত আব্দুল্লাহ হাওযানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমার মুয়াজ্জিনে রাসূল হযরত বিলাল رَضِیَ اللهُ عَنْہُ এর সাথে সাক্ষাত করার সৌভাগ্য অর্জিত হলো তো আমি তাকে রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর ব্যয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি আমাকে বললেন যে, রাসূল صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নিকট যা কিছু (সম্পদ) থাকতো, তা খরচ করার দায়িত্ব আমার থাকতো। যখন কোন বস্ত্রহীন