Maut Ke Qasid

Book Name:Maut Ke Qasid

মধ্যে লেগে যায় এবং নিজের আখিরাতের প্রস্তুতির মধ্যে ব্যস্ত হয়ে যায়। স্মরণ রাখবেন! মৃত্যুর ঐ তিন দূত ছাড়াও বিভিন্ন রোগ, কান ও চোখের পরিবর্তন (অর্থাৎ প্রথমে দৃষ্টি ভালো ছিলো তারপর দূর্বল হয়ে যায়, এইভাবে শুনার শক্তি কম বা শেষ হয়ে যাওয়াও) মৃত্যুর দূত স্বরূপ। আমাদের মধ্যে অনেক লোক এমন থাকবে যাদের কাছে মালাকুল মউত عَلَیْہِ السَّلَام এই দূত মৃত্যুর বার্তা নিয়ে এসেছে। কিন্তু আমাদের অলসতার ধরণ এই কথার দ্বারা বুঝা যায় যে, যদি কারো কালো চুলের পর চুল সাদা হয়ে থাকে, তখন সে তার মনকে শান্তনা দিয়ে বলে যে, এটাতো সর্দি কাঁশির জন্য চুল সাদা হয়ে  গেছে বা চিন্তা অথবা পেরেশানী আমাকে বৃদ্ধ করে দিয়েছে, নতুবা এখনো আমার বয়সইবা কতো? এইভাবে রোগ ও মৃত্যুর প্রকাশ্য দূত স্বরূপ, কিন্তু এর মধ্যেও একেবারে অলসতা বেড়েই চলছে। অথচ আমরা দেখে থাকি যে, রোগের কারণে প্রতিদিন অসংখ্য লোক মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে, বরং রোগীকে তো খুব বেশি মৃত্যুর কথা স্মরণ রাখা উচিত। কে জানে, যে রোগটি আমরা সামান্য মনে করছি সেটাই যদি ধ্বংসকারী পরিস্থিতি সৃর্ষ্টি করে এবং মূহুর্তের মধ্যে মৃত্যুর ঘাট অতিক্রম করিয়ে দেয়। তারপর নিজের আপনজনেরা আহাজারী করবে, শত্রুরা আনন্দ উদযাপন করবে এবং মৃত্যু বরণকারী মৃত্যু থেকে অলস রোগী মন পরিমাণ মাটির নিচে অন্ধকার কবরের মধ্যে চলে যায়। আহ! ঐ সময় মৃত্যু বরণকারী হবে এবং তার সাথে ভালো বা খারাপ আমল থাকবে। নিঃসন্দেহে আমাদের জানা নেই যে, আজকের দিন আমাদের জীবণের শেষ দিন বা আগামী রাত আমাদের জীবণের শেষ রাত হতে পারে বরং আমাদের কাছে এটার কোন নিশ্চিয়তা নেই। একটার পর দ্বিতীয় শ্বাস নিতে পারবো কি না, হতে পারে যে শ্বাস আমরা নিচ্ছি, সেটা শেষ নিশ্বাস, দ্বিতীয় শ্বাস নেওয়ার সুযোগ নাও আসতে পারে। আজ-কাল আমরা এই সংবাদ শুনে থাকি যে, অমুক ব্যক্তি একেবারে সুস্থ ছিলো। তার কোন রোগ ছিলো না, কিন্তু হঠাৎ হার্ট ফেইল হয়ে যাওয়ার কারণে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যুর তরী অতিক্রম করলো। এইজন্য অহেতুক অযথা বাসনা ও দীর্ঘ আশা আকাঙ্ক্ষা না করে সব সময় নিজের মৃত্যুর কথা স্মারণ রাখা উচিত।

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

 

মৃত্যু চেপে বসলো

          হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ বিন মুহাম্মদ কারশী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: কোন এক শহরে এক বড় বিত্তশালী যুবক বসবাস করতো। তার কাছে সব ধরণের দুনিয়াবী নিয়ামত পরিপূর্ণ ছিলো, তার কাছে এক সুন্দর দাসী ছিলো, যাকে সে খুব ভালবাসতো। খুব আরাম আয়েশে তার দিন রাত অতিবাহিত হচ্ছিলো, তার দুনিয়াবী সব নিয়ামত বিদ্যমান ছিলো। কিন্তু সে সন্তানের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত ছিলো। তার অনেক বড় আশা ছিলো যে, তার সন্তান হোক। অনেক বছর পর্যন্ত তার এই আশা পূর্ণ হচ্ছিলো না। অতঃপর আল্লাহ পাকের দয়া ও অনুগ্রহে ঐ দাসী আশার আলো দেখলো। এখন তো ঐ বিত্তশালী যুবকের খুশীর সীমা রইলনা, সে খুশিতে ফেঠে পড়লো। অপেক্ষার ঘড়ি তার জন্য অনেক বড় ধৈর্য পরীক্ষা ছিলো। অবশেষে ঐ সময়ই নিকটবর্তী হলো যার জন্য সে কঠোর ভাবে অপেক্ষমান ছিলো, কিন্তু হয়ে থাকে তাই যা আল্লাহ পাক চান। হঠাৎ ঐ বিত্তশালী যুবক রোগাক্রান্ত হয়ে গেলো এবং কিছু দিন পর সন্তানের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত হয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়া থেকে বিদায় নিলো। যেই রাতে ঐ যুবকের ইন্তেকাল