Maut Ke Qasid

Book Name:Maut Ke Qasid

দুইজন ফেরেস্তা পাঠান এবং তাদেরকে বলেন: দেখো সে সেবাকারীদেরকে কি বলে? যদি ঐ রোগী তার সেবা দানকারীদের উপস্থিতিতে আল্লাহ পাকের প্রশংসা ও গুণকীর্তন করে (অর্থাৎ শুকরিয়া আদায় করে) তখন ঐ ফেরেস্তারা ঐ কথা আল্লাহ পাকের দরবারে পেশ করে। অথচ আল্লাহ পাক অধিক জানেন। আল্লাহ পাক বলেন: আমার বান্দার আমার উপর হক রয়েছে যে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো এবং যদি তাকে আরোগ্য দিই তাহলে তার মাংসকে উত্তম মাংস দ্বারা পরিবর্তন করে দিবো এবং তার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দিবো। (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, ৩য় খন্ড, ৪২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস- ১৭৯৮)

          আল্লাহ পাক আমাদেরকে প্রত্যেক রোগ এবং পেরেশানী অবস্থায় ধৈর্যধারণ করার এবং নিজের মৃত্যুর কথা স্মরণ রেখে এর জন্য অধিক পরিমাণে প্রস্তুতি নেয়ার তাওফীক দান করুক।

اٰمِين بِجا هِ النَّبِيِّ الْاَمين صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

জাহান্নামের দরজায় নাম

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আখিরাতের প্রস্তুতি না নেয়া এবং গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকা ধ্বংসের কারণ এবং আল্লাহ পাক ও মুহাম্মদ  মুস্তফা
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অসন্তুষ্টির কারণ। মৃত্যুর পর তাওবার দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে এবং আমাদের গুনাহের ফলাফল শাস্তির আকৃতিতে আমাদের সামনে আসবে। সেই সময় আফসোস করা এবং মাথা ফাটানো ছাড়া আর অন্য কোন উপায় থাকবে না। তাই এখনই সময়কে গণীমত মনে করে গুনাহ থেকে তাওবা করে সঠিক ভাবে তাওবা করে নামায, রমযান মাসের রোযা সমূহ এবং সুন্নাতে ভরা জীবন যাপন করার অঙ্গীকার করে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেয়া শুরু করে দিন। এখন আমাদের মধ্যে অনেকে যুবক। আর যৌবন আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে বড় নিয়ামত এবং সেই নিয়ামতকে মূল্যায়ন করে সেটা ইবাদত এবং রিয়াজতে অতিবাহিত করুন। বৃদ্ধ অবস্থায় সাহস চলে যাবে এবং অঙ্গ সমূহ দূর্বল হয়ে যাবে। সেই সময় ইবাদত করা অনেক কষ্টকর হবে।

 

মৃত্যুর একটি দূত হলো “বার্ধক্য”

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যে ভাবে রোগ মৃত্যুর একটি বার্তা বাহক অনুরূপ ভাবে বার্ধক্য ও মৃত্যুর পূর্বে এটার দূত হওয়ার মতো ভূমিকা রাখে। এভাবে মানুষ কোন সময় মৃত্যু থেকে উদাসীন থাকা যেন শত্রুর বৃত্তের মধ্যে শুয়ে থাকার মতো কিন্তু বার্ধক্য কালে মৃত্যু থেকে উদাসীন থাকা যেন এই রকম যে শত্রু পর পর হামলা করছে, আর আমরা রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন উপায় অবলম্বন করছিনা। বার্ধক্য বয়সের সেই শেষ সময় যার পরে মৃত্যু ছাড়া আর কোন গন্তব্য নেই। আর এই বয়স মানুষকে উদাসীনতার স্বপ্ন থেকে জাগ্রত করে এবং নেকীর দিকে উৎসাহিত করে কিন্তু এখন ঐ বয়সেও মানুষ উদাসীনতার মধ্যে সময় কাটায় তখন এই সমস্ত মানুষের কি অবস্থা হবে? যেমনিভাবে- আল্লাহ পাক ২২ পারার সূরা ফাতির এর ৩নং আয়াতে ইরশাদ করেন:

وَ ہُمْ یَصْطَرِخُوْنَ فِیْہَا ۚ رَبَّنَاۤ اَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَیْرَ الَّذِیْ کُنَّا نَعْمَلُ ؕ اَوَ لَمْ  نُعَمِّرْکُمْ مَّا یَتَذَکَّرُ فِیْہِ مَنْ تَذَکَّرَ وَ جَآءَکُمُ  النَّذِیْرُ ؕ فَذُوْقُوْا  فَمَا لِلظّٰلِمِیْنَ  مِنْ نَّصِیْرٍ (۳۷)