Maut Ke Qasid

Book Name:Maut Ke Qasid

(সহীহ মুসলিম, কিতাবুয যাকাত, ৫২১ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ১০৪৬)

 

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন! মানুষ চায় বার্ধক্যের দরজায় পৌঁছাক না কেন, কিন্তু সম্পদের প্রতি ভালবাসা এবং আকাঙ্ক্ষা ঐ বয়সেও তার পিছু ছাড়ে না। আর এই ভাবে তার ইবাদতে এবং রিয়াজতে স্বাদ লাভ হয় না। নিজের অন্তর থেকে দুনিয়ার ভালবাসা মিটিয়ে দেয়ার জন্য এবং অন্তরে মৃত্যুর স্মরণ বাড়ানোর জন্য মাকতাবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত কিতাব “আছোঁ কা দরিয়া” থেকে তিনটি নসীহত পূর্ণ কবিতার অর্থ শুনুন এবং তাওবা করার পর নিজ বাকী জীবন আল্লাহ পাকের ইবাদত করার নিয়্যত করে নিন।

(১)   হে বৃদ্ধ লোক! বার্ধক্য আসার পরও তুমি অজ্ঞতার মধ্যে ডুবে আছো? এখন (এই বয়সে) তোমার পক্ষ থেকে অজ্ঞতা প্রকাশ পাওয়া ভালো নয়।

(২)  তোমার ফয়সালা তোমার মাথার সাদা চুল করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তুমি দুনিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছো এবং অস্থায়ী দুনিয়া তোমাকে ধোঁকা দিচ্ছে।

(৩)  অস্থায়ী দুনিয়া এবং এর উপর আফসোস করা ছেড়ে দাও যে, একদিন তোমাকেও মরতে হবে এবং এই রকম দৃঢ় সংকল্প করার সাথে সামনে অগ্রসর হও যার মধ্যে অনর্থক কোন কিছু প্রবেশ করতে না পারে।

 

পরকালের তুলনায় দুনিয়ার বাস্তবতা

          হযরত মুস্তাউরিদ বিন শাদ্দাদ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিতআল্লাহ পাকের মাহবুব, দানায়ে গুয়ূব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “আল্লাহ পাকের শপথ! পরকালের তুলনায় দুনিয়া এরকম যে, যেমন কেউ আঙ্গুল সমূদ্রের মধ্যে ডুবালো তখন দেখলো যে, তার আঙ্গুলে কি পরিমাণ পানি আসলো।” (সহীহ মুসলিম, ১৫২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং- ২৮৫৮, দারে ইবনে হাজম, বৈরুত)

 

          প্রসিদ্ধ মুফাস্সীর হাকীমুল উম্মত হযরত মুফতী আহমদ ইয়ার  খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: এই (উদাহরণ) শুধু মাত্র বুঝানোর জন্য, অন্যথায় ধ্বংসশীল এবং নিঃশেষ হয়ে যাওয়া (সর্বদা বিদ্যমান এবং স্থায়ী পরকালের) এর সাথে এতটুকুও সম্পর্ক হবে না যে, শুকনো আঙ্গুল সমূদ্রে বিজালে যা পানি আসে। মনে রাখবেন! দুনিয়া হলো তা, যা আল্লাহ পাক থেকে উদাসীন করে দেয়। বিবেকবান এবং আরিফদের জন্য দুনিয়া হলো আখিরাতের ক্ষেত স্বরূপ। তাদের দুনিয়া অনেক মহান। উদাসীনদের নামায ও দুনিয়া, যা সুনাম অর্জন করার জন্য আদায় করে থাকে। বিবেকবানদের খাওয়া, পান করা, শোয়া, জাগ্রত হওয়া বরং জীবিত থাকা ও মৃত্যু বারণ করাও দ্বীনী কাজ। হুযুর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত পালন করা, এই জন্য মুসলমানের খাওয়া, পান করা, শোয়া, জাগ্রত হওয়া সব কিছু হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর সুন্নাত। দুনিয়ার জীবন অন্য বিষয়, দুনিয়ার মধ্যে বাঁচা এবং দুনিয়ার জন্য বাঁচা অন্য বিষয় অর্থাৎ দুনিয়ার জীবন দুনিয়ার মধ্যে হবে কিন্তু আখিরাতের জন্য হবে দুনিয়ার জন্য হবে না, সেটা হলো বরকতময়। (মিরআতুল মানাযীহ, ৭ম খন্ড, ৩ পৃষ্ঠা)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد