Maut Ke Qasid

Book Name:Maut Ke Qasid

হলো, ঐ রাতেই তার একটা সুন্দর বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলো। কিন্তু পিতা তার পুত্রকে দেখতে পারেনি। (উয়ুনূল হিকায়াত, ১/ ১৯৬ পৃষ্ঠা)

 

মৃত্যুর এক দূত “অসুস্থতা”

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এমনি তো আমাদের প্রত্যেকের মৃত্যু থেকে উদাসীন না থাকা উচিত এবং সব সময় মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখা উচিত। কিন্তু বিশেষ করে রোগীরা মৃত্যু থেকে উদাসীন থাকা আশ্চর্য্যজনক। যেমন- বর্ণনা কৃত ঘটনায় আমরা শুনলাম যে, ঐ ব্যক্তি বিছানায় অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও দুনিয়াবী কাজ কারবারে ব্যস্ত ছিলো এবং মৃত্যু তাকে চেপে বসলো এবং তার সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়ে গেলো।

          হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত সায়্যিদুনা ইমাম মুহাম্মদ বিন মুহাম্মদ গাযালী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: রোগীর উচিত, মৃত্যুকে অধিক হারে স্মরণ করা। তাওবা করে করে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নেয়া, সর্বদা আল্লাহ পাকের প্রশংসা এবং গুণগান বর্ণনা করে কেঁদে কেঁদে দোয়া করা। বিনয় প্রকাশ করে আল্লাহ পাকের নিকট সাহায্য চাওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসাও করা। শক্তি এবং সামর্থ্য নসীব হওয়ার উপর আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করা, অভিযোগ না করা। যারা সেবা করে তাদের যেন ইজ্জত ও সম্মান করা।

(রাসায়েলে ইমাম গাযালী, আল আদব ফিদদ্বান, ৪০৯ পৃষ্ঠা)

          প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেলো, অসুস্থ অবস্থায় আমাদেরও মৃত্যুকে ভুলে যাওয়া উচিত নয় এবং অভিযোগ ও আপত্তি না করে রোগকে রহমত ও গুনাহের কাফ্ফারা মনে করা উচিত। কেননা, কতিপয় সাধারণ অসুস্থতা অনেক কষ্টদানকারী রোগ সমূহ থেকে রক্ষা পাওয়ার মাধ্যম হয়। হাকীমুল উম্মত, মুফতী আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সর্দি রোগ নয় বরং ব্রেইনের রোগ সমূহের চিকিৎসা স্বরূপ এর মাধ্যমে অনেক রোগ দূরীভূত হয়ে যায়। যাদের সর্দি হয় তাদের পাগলামীর রোগ হয় না। যাদের এলার্জি হয় তাদের কুষ্ট রোগ হয় না। সর্দি এবং এলার্জির মধ্যে আল্লাহ পাকের অনেক হিকমত সমূহ বিদ্যমান রয়েছে।

(মিরআতুল মানাজিহ, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৩৯৫ পৃষ্ঠা)

          ফকীহে মিল্লাত মুফতী জালাল উদ্দীন আমজাদী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: রোগ দ্বারা প্রকাশ্য ভাবে কষ্ট পৌঁছে কিন্তু মূলত এটা অনেক বড় নিয়ামত যার দ্বারা মুমিনের স্থায়ী শান্তি এবং আরামের বড় খনি হাতে চলে আসে। এই প্রকাশ্য রোগ মূলত রূহানী রোগের অনেক বড় চিকিৎসা, কিন্তু শর্ত হলো ব্যক্তি মুমিন হতে হবে এবং মারাত্মক অসুস্থতার মধ্যে শুকরিয়া আদায় করতে হবে। যদি ধৈর্যধারণ না করে বরং ধৈর্য হীনতা ও পেরেশানী প্রকাশ করে তাহলে রোগ দ্বারা কোন আভ্যন্তরীণ উপকার লাভ হবে না অর্থাৎ সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে। অনেক অজ্ঞরা রোগের সময় অত্যন্ত খারাপ খারাপ কথা বলে থাকে এবং অনেকে আল্লাহ পাকের দিকে অত্যাচারের সম্পর্ক করে কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এটা তাদের অত্যন্ত দূর্ভাগ্য এবং দুনিয়া ও আখিরাতে ধ্বংসের কারণ। আল্লাহ পাকের পানাহ।

(আনওয়ারুল হাদীস, ১৯৭ পৃষ্ঠা)

          মনে রাখবেন! রোগের ফযীলত ঐ অবস্থায় অর্জিত হবে যখন আমরা নিজের মুখে অভিযোগ, আপত্তি করার স্থলে ধৈর্য এবং শুকরিয়া প্রকাশ করবো। হযরত সায়্যিদুনা আতা বিন ইয়াসার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত; যখন কোন বান্দা অসুস্থ হয় তখন আল্লাহ পাক তার নিকট